শিরোনাম

South east bank ad

ঈদের পর রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা

 প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

ঈদের পর ১৪ দিনের লকডাউনে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ টেরিটাওলে অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বৈঠকে করে এ দাবি জানান।

শিল্প মালিকরা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশে মানুষের চলাচলে যতবার বিধিনিষেধ বা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, সবসময়ই পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলো খোলা ছিল। এজন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। তারা বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি। আমরা মনে করি অর্ডার বাতিল হবে না। তবে শিপমেন্ট করতে না পারলে অর্ডার ক্যানসেল হয়ে যাবে। আমরা শিপমেন্ট যাতে করতে পারি সেই সহযোগিতা চাচ্ছি।

বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সরকার নতুন করে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর জন্য বলেছি। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আমরা চিঠি দিয়েছি। লকডাউনের মধ্যে যে সময়টুকু কারখানা বন্ধ থাকবে তার মধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্পগুলো কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সে বিষয়গুলো জানিয়েছি। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সে অনুযায়ী বিবেচনা করতে বলেছি। আমাদের আবেদন শিল্প কারখানা যেন খোলা থাকে। কারণ আমরা জানি শিল্প কারখানা যদি খোলা না রাখা যায় এটা মারাত্মকভাবে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হয়।

তিনি বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কায় শিল্প কারখানাগুলোর অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছিল, সেগুলো ফিরে এসেছে। এগুলো বাস্তবায়ন করছি। উইন্টার ও ফল সিজনের শিপমেন্টগুলো ১৫ আগস্টের মধ্যে শিপমেন্ট করতে হয়। আইটেমগুলো সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি অল্প সময়ের জন্য সিজন থাকে। সে কারণে এই শিপমেন্টগুলো যদি দিতে না পারি, যেসব অর্ডার এনেছি, ফ্যাক্টরিগুলো দেউলিয়া অবস্থার মধ্যে চলে যাবে। ক্লোজিং ভীষণ সমস্যায় পড়ে যাবে। এজন্য জীবন-জীবিকার সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছি। শনিবার সভা আছে, সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের লকডাউন জারি করা হয়েছে। এ সময় সকল সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শিল্প কলকারখানাও বন্ধ থাকবে। তবে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: