একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে।
এর আগে গত ১১ জুলাই একদিন সর্বোচ্চ ২৩০ জন মৃত্যু হয়েছে। যা এখন সর্বোচ্চ।
এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২৭৮ জনে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২৩৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৪ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৩৯৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ০৫ হাজার ৮০৭ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬২৭ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০ টি, জিন এক্সপার্ট ৫০টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৪৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৬ হাজার ৬০৪ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৪১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪২০টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪০ জন এবং ৮৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, খুলনা বিভাগে ৫২ জন, বরিশাল বিভাগে ছয়জন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে ১৩ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন রয়েছেন।
মৃত ব্যক্তিদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে দুইজন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, শূন্য থেকে ১০ বছরের নিচে একজন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।