পাবনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার আহবান
রনি ইমরান (পাবনা):
২৪ ঘন্টায় পাবনায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৭৬ জন। মহামারী শুরুর পর থেকে জেলায় একদিনে শনাক্তের হিসেবে যা সর্বোচ্চ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলায় সবচেয়ে বেশী সংখ্যক শনাক্ত হয়েছে। ঈশ্বরদীতে শনাক্ত হয়েছে ৩ শত ৩ জন। জেলায় সবচেয়ে কম শনাক্ত হয়েছে ভাঙ্গুড়ায় মাত্র ৩ জন। এছাড়া পাবনা সদরে ৩১ জন,আটঘড়িয়াতে ৬ জন,ভাঙ্গুড়াতে ৩ জন, চাটমোহর ৮ জন,সাথিয়াতে ৮ জন,বেড়ায় ১৩ জন ও সুজানগরে ৪ জন। জেলায় আক্রান্তের হার শতকরা ১৯ দশমিক ৪৩।গত এক সপ্তাহে ১৭ শত ৭২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ।
কঠোর লকডাউনের শেষ দিন গতকাল বুধবার পাবনার শহর ও এর আশপাশের এলাকায় জনজীবনে ব্যস্ততা দেখা যায়। আগের দিন থেকে শহরের রাস্তায় মোটরসাইকেল অটোবাইক ও মানুষের চলাচল ছিল বেশী। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানি পশুর হাটগুলোতে ছিল মানুষের ব্যাপক ভীর।মানুষের গাদাগাদিতে স্বাস্থ্যবিধিতে ধ্বস নেমেছিল পাবনার হাটগুলোতে।অফিস ব্যাংকেও ছিল মানুষের আনাগোনা। বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধিগুলোর তোয়াক্কা না করে মানুষ অসচেতন ঘুড়তে দেখা যায়। পাবনা জেলা পুলিশের সদস্যরা মানুষদেরকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহবান জানাচ্ছেন। সামাজিক ভাবে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সেচ্ছাসেবক তারুণদের জনসচেতনাতায় উৎসাহীত করছেন।মানুষকে সচেতন করতে পুলিশের টহল অব্যাহত আছে।
পাবনার হাসপাতলে রোগীদের চাপ বাড়ছেই। বর্তমানে রোগীর সংখ্যা ১ শ' বেশী সে তুলনায় চিকিৎসা সেবা অপ্রতুলই রয়ে গেছে। বলে জানা যায়। পাবনার বিভিন্ন সেচ্ছাসেবক কোভিড রোগীদের প্রয়োজনে জীবন বাঁচাতে অক্সিজেন নিয়ে দিনরাত ছুটছে। শ্বাসকষ্টে থাকা রোগীদের আক্সিজেন দিয়ে জীবন বাঁচাচ্ছে। তবে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার বিষয়ে বলছেন ডাক্তাররা।
লকডাউন শিথিল করা হয়েছে তবে মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। এই মহামারীকালে এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবেনা। এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, লকডাউন শিথিল করা হয়েছে তবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কেউ যদি মাস্ক না পড়ে,সামাজিক দূরুত্ব ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলে তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাটে বাজারে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেনা তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।