শিরোনাম

South east bank ad

নান্দাইলে লকডাউনে যেন চোর-পুলিশ খেলা

 প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এইচ এম জোবায়ের হোসাইন (ময়মনসিংহ):

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ‘সর্বাত্মক লকডাউনেথর ঘোষণা দেয় সরকার। লকডাউনে মানুষকে ঘরে ফেরাতে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন ও নান্দাইল থানা পুলিশ ।

কিন্তু প্রশাসন ও পুলিশের গাড়ির সাইরেন, লকডাউনের অন্তর্ভুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানুষের ঘাপটি মেরে থাকা, মোড়ে মোড়ে মানুষজনের আড্ডা, পুলিশ-প্রশাসন এলে চুপিসারে সরে পড়া, চলে গেলে আবার আগের অবস্থা ও জনগণের করোনা মহামারীর প্রতি উদাসীনতা এ যেন চোর-পুলিশ খেলার মতো। ফলে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন কঠোর হলেও এটি খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না।

যদিও উপজেলা প্রশাসন প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল বাজারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছেন। বিনা কারণে ঘুরাঘুরি, মাস্ক না পরা ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করছেন। তবুও মানুষের মাঝে সচেতনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পাশাপাশি লকডাউন বাস্তবায়নে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে আরোও ভয়াবহতার দিকে ধাবিত হবে।

নান্দাইল থানা অফিসার ইনচার্জ মা. মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, নান্দাইল লকডাউন মানার প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক ভালো। তবে সরকারি-বিধি নিষেধের ব্যতয় ব্যত্যয় ঘটলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবো।

এদিকে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষদের লাইন প্রতিদিন-ই দীর্ঘ হচ্ছে।করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন জরুরি বটে। কিন্তু তা অবশ্যই জনগণের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে কার্যকর করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে কর্মহীনদের জন্য সরকারী খাদ্য সহায়তায়। অন্যথায় এ ধরনের লকডাউন কাগজ-কলমে ছাড়া বাস্তবে খুব একটা কার্যকর ভূমিকা না রেখে চোর-পুলিশ খেলায় রূপ নেবে এমনটি বলছেন নান্দাইল সুশীল সমাজ।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: