শিরোনাম

South east bank ad

গাজীপুরে অনলাইনে কোরবানী গরু বিক্রিতে সাড়া ফেলতে চায় খামারীরা

 প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মেহাদী হাসান সোহেল,(গাজীপুর):
শুরুটা ছিল কোন এক বিকেলে স্রেফ আড্ডার ছলে। বিশজন কর্মজীবী যুবক তাদের পেশার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার অন্তঃ প্রয়াসে শুরু করে একটা কিছু করার প্রচেষ্টা। আলোচনা ছেড়ে দেয়া হলো সবার মাঝে । কি করা যায়, কি করা যায় ভাবনাটি। আর এই ভাবনা থেকেই শুরু হলো স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে এমন কিছু করা যা তরুণদের মাঝে আশাজাগানিয়া একটা সম্পদ হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে অজানা আগামীতে। সে ভাবনা রূপ নেয় ২০১৬ এর আগস্ট এর প্রথম দিকে। ২০ থেকে ২৫,২৫ থেকে ৫০ এগিয়ে যায় সদস্যপদ। নতুন উদ্যমে শুরু হয় ৮ জুন২০১৮ তাদের শুরু করা প্রথম প্রয়াস। গরু হৃষ্টপুষ্ট‌ করে তা বাজারজাত করার প্রক্রিয়া। বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতা আসে প্রথমে, যেমনটা উদ্যোগতা হলে মেনে নিতে হয়।এই মেনে নেওয়ার মানসিকতা থেকেই সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে আজ অব্দি এগিয়ে চলছে হ্যান্ডশেক এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড।গাজিপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ইকুরিয়া বাজারে স্থাপিত হ্যান্ডশেক এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড।
যেমনটা বলছিল প্রতিষ্ঠানটির তরুণ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া রুবেল। কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করতে গিয়ে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করার যে প্রকল্পটি শুরু করি তার প্রথম দিকে বেশ বড় প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাদেরকে।খাবারের সংস্থান আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে ব্যাপক রকম। পরবর্তীতে সাইলেজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে বিক্রেতা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করি। অর্থাৎ যেখানে ঠেকেছি, সেখান থেকে শিখেছি। এটাকেই প্রতিবন্ধকতা উতরে যাওয়ার মন্ত্র হিসেবে নিয়ে প্রত্যেকটি অধ্যায় পার করেছি সফলাতার সাথে।তবে বলাবাহুল্য গত বছর গুলোতে এখানে উপজেলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সহ তার অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা ছিল আশাপ্রদ। যা এখন আর অব্যহত নেই বলে জানান এই তরুণেরা।

কাপাসিয়ায় মোট খামারির সংখ্যা ১৫২০। এদেরমধ্যে প্রান্তিক খামারি ও রয়েছে। তাদের মধ্যে মধ্য থেকে এবার সর্বমোট ৮৩৬০ টি কোরবানির গরু কাপাসিয়া উপজেলার জন্য হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে।এই উদ্যোক্তাদের আমরা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গোমাংস প্রস্তুত করুন প্রক্রিয়া টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। অর্থাৎ স্টেরয়েডহীন খাদ্য প্রস্তুত করে প্রাকৃতিক ভাবে পশু খাদ্য প্রস্তুতে উৎসাহিত এই যুবকেরা।এবং এর ফলে খামারিরাও লাভবান হয়েছেন এবং তাদের উৎপাদন ব্যয় কমে এসেছে।তবে দুই বছর ব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কারণে আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা কিছুটা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে আছে।আতঙ্ক দূর করার জন্য আমরা উপজেলা পশু সম্পদ অফিস এবং খামারিদের সমন্বয় করে একটি অনলাইন বিক্রয়ের প্লাটফর্ম তৈরি করা আছে বলে জানায়। যা ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল গত বছরে।
হ্যান্ডশেক এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম উদ্যোক্তা পরিচালক কর্মজীবী মাহফুজুর রহমান মামুন জানায় আমাদের স্থানীয় যুবকদের নিজস্ব আমিষের চাহিদা পূরণ করার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবং গাজীপুর জেলা তথা দেশের অন্যতম একটি স্বনামধন্য মাংস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আত্মপ্রকাশ করাই আমাদের লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রুবেল আরও জানান ভবিষ্যতে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের কাছে যারা শলাপরামর্শ জন্য আসেন তাদের জন্য আমরা নিয়মিত ভাবে বৈঠকের আয়োজন করে থাকি। এর প্রভাব ইতিমধ্যে সারা উপজেলাতে খামারিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ ইকুরিয়া গ্রামে দুটি গরুর খামার সৃষ্টি হয়েছে পাশাপাশি একটি মহিষের খামারও তৈরি হয়েছে। আমাদের উদ্যোক্তা কমিউনিটির মধ্যে একটি বিষয় প্রতিষ্ঠায় করতে চাচ্ছি যা হচ্ছে "দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ"। এই মূলমন্ত্রকে সবার সামনে তুলে ধরে আমাদের এই প্রচেষ্টাকে বর্তমান সময়ের প্রান্তিক খামারীদেরকেও ও ঐক্যবদ্ধ করতে চাচ্ছি। আর এই এলাকাটিকে হৃষ্টপুষ্ট গরুখামারের বৃহৎ একটি এলাকায় রূপদানের প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছি।

তারই ধারাবাহিকাতায় এবছরে আমারা অনলাইনে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।ইতিমধ্যে রাজধানী সহ আশেপাশের এলাকা থেকে আসা ক্রেতাদের মাঝে আমাদের ২৫ টিরও অধিক কোরবানীর গরুর বুকিং হয়ে গেছে। শহরের ক্রেতাদের স্বার্থে তাদের কেনা গরু আমরা কোরবানীর আগেরদিন পৌছে দেবার ব্যাবস্থা রেখেছি গত বছরের মতোই। আশা করা যায় আগামী দিন গুলোতে আমিষের চাহিদা পূর্ণ তথা দেশিও কোরবানী পশুর চাহিদা পুরনে হ্যান্ডশেক এগ্রো অগ্রনী ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: