ধামইরহাটের মুকুট বিহীন রাজা ২৫ মণ ওজনের ষাড়!
আব্দুল্লাহ হেল বাকী (নওগাঁ) :
নওগাঁর ধামইরহাটে ২৫ মণ ওজনের ষাড় সিংহাসন বিহিন রাজা কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত অ লে কৃষক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে এই ষাড়টি পালন করা হয়েছে। বর্তমানে সেটি নিজ বাড়ী থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জানা গেছে, ধামইরহাট পৌরসভার অন্তর্গত চকময়রাম মহল্লার সৌখিন খামারি মো.শহীদুল ইসলাম। শিক্ষকতা তার মুল পেশা। তিনি স্থানীয় চকময়রাম মডেল সরকারি ক্ষচ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি কাজে ফাঁকে শখের বসে গরু প্রতিপালন করা তার নেশা। প্রায় তিন বছর পূর্বে তার নিজ বাড়ীতে একটি ষাঁড়ের জন্ম দেয় তার হলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী। বর্তমানে ষাড়টির বয়স ৩ বছর তার ৪টি দাঁত ওঠেছে। এর উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফিট তিন ইি এবং লম্বায় এটি প্রায় আট ফিট।
স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, ষাড়টির ওজন প্রায় এক হাজার কেজি বা ২৫ মণ। এতে মাংস পাওয়া যাবে প্রায় ২০ মণ। এর চাওয়া দাম রাখা হয়েছে ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা। এব্যাপারে শিক্ষক মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, ৩ বছর আগে তিনি শখ করে ফিজিয়াম জাতের ষাড় পালন করতে শুরু করেন। ষাড়টির নাম রাখা হয়েছে রাজা। প্রতিদিন তাকে গোসল করা থেকে শুরু করে সবকিছু দেখভাল তিনি নিজে এবং তার স্ত্রী করেন। তবে ষাঁড়টিকে সার্বক্ষনিক দেখভাল করেন কাজের ছেলে সোয়াইব ও তার মা বেলি খাতুন। রাজা সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খায়। বর্তমানে রাজা প্রতিদিন চার বার খাবার খায়। প্রতিদিন ২০ কেজি চালের গুড়া, গমের ভূষি, আটা ও ভাত খায়। সার্বক্ষনিক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও সঠিক সময়ে সেবা যতœ করায় রাজার রোগবালাই নেই বললেই চলে। ষাঁড়টিকে এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন তার বাড়ীতে ভিড় জমায় কৌতুহলী জনতা।
বর্তমানে রাজাকে পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানীর ঈদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনাকালে হাট বাজারে গিয়ে ষাড়টি বিক্রি না করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিজ বাড়ী থেকে সুলভ মূল্যে তিন বিক্রি করতে চান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বা ইউটিউবে প্রচারের মাধ্যমে ক্রেতা আকৃষ্ট করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়া সৃজনশীল ও মননশীল ক্রেতাগন তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭১২৯২৮৮৪১ এক নম্বরে কল করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.এমরান আলী প্রামানিক বলেন, ষাঁড়টি জার্মানীর হলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। এ জাতের গরুর ওজন প্রায় ৩০ মণ পর্যন্ত হতে পারে। ষাঁড়টি থেকে মাংসা পাওয়া যেতে পারে ৬৫-৭০ ভাগ। দেশীয় খাদ্য খাওয়ার এর মাংস সুশ্বাদু হওয়ার কথা।