শিরোনাম

South east bank ad

করোনা সংক্রমণের হটস্পট পাবনা

 প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

রনি ইমরান (পাবনা) : কেউ যদি মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অক্সিজেন নিতে না চায় তাহলে তাকে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে। মেনে চলতে হবে বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধিগুলো। করোনার ভয়াবহতা নিয়ে সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পাবনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডাঃ সালেহ্ মুুহাম্মাদ আলী। গত বছর এপ্রিলে যখন পাবনায় করোনা পরিস্থিতি শুরু হলো তখন থেকেই তিনি কোভিড ওর্য়াডে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এই সম্মুখসারি নিবেদিত ডাক্তার তার অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, আসলে অসচেতন মানুষ করোনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পারছেনা। দীর্ঘদিন কোভিড ওর্য়াডে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে দেখেছি রোগীদের ফুসফুস ভরে শ্বাস নিতে না পারার যন্ত্রনাদায়ক মূর্হুর্তগুলো। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা কোভিড রোগীদের আর্তনাদ। তাদের স্বজনদের দিশেহারা ছোটাছুটি। সাম্প্রতিক সময়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ওর্য়াডে এতো রোগীর চাপ ও অক্সিজেনের অভাবে দম বন্ধ হওয়া হাহাকার তিনি এর আগে দেখেনি। ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে উপর্সগ নিয়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করছে কিন্ত শনাক্ত না হওয়ায় তা হিসেবে আসছেনা। বর্তমানে কোভিড ওর্য়াডে রোগীতে পূর্ণ। হাসপাতালে অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে, সেন্টাল অক্সিজেন প্লাট চালু হতে আরো দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। হাসপাতালে নেই উন্নত আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর তাই মুমূর্ষু রোগী হয়ে কোভিড ওর্য়াডে আসার চেয়ে অযথা বাড়ির বাহিরে না এসে স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলাই ভালো বলছিলেন,সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃসালেহ্ মুুহাম্মাদ আলী। পাবনায় করোনার উপর্সগ নিয়ে মৃত্যুর বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, উপর্সগ থাকা অবস্থায় কোনো রোগীর মৃত্যু ও শনাক্ত হয়ে মৃত্যু দুটি আলাদা হতে পারে। তবে পাবনায় পিসিআর ল্যাব না থাকায় আক্রান্ত যেমন বাড়ছে তেমনি শনাক্ত না হওয়াতে যারা উপসর্গ নিয়ে কোভিডে মৃত্যুবরণ করছে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছেনা। অচিরেই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি মনে করেন। পাবনায় পিসিআর ল্যাব না থাকায় রোগীর সংখ্যা বাড়েছে বলে মনে করেন পাবনা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ডাঃ রাম দুলাল ভৌমিক তিনি বলেন, ভাইরাসের বাহক করোনা পরিক্ষা করাতে দিয়ে তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রিপোর্ট দেরিতে আসায় বাহক সামাজিক ভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়া মানুষের অসচেতনতায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লকডাউনে মানুষের সীমিত সমস্যা হলেও কোভিড পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি করোনার হটস্পট চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদাহরণ দিয়ে বলেন, লকডাউনের পর সেখানে সংক্রমণ এখন কম।উল্লেখ্য, ২ জুলাই শুক্রবার রাজশাহী বিভাগ ও পাবানায় সর্বোচ্চ আক্রন্তের সংখ্যা ছিল ২৪৪ জন । একই দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিল মাত্র ৪০ জন। তিনি বলেন, ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার একটা চক্র বা চেইন আছে সেটা স্টপ করার জন্য লকডাউন। সকলের উচিৎ হবে লকডাউনের বিধিনিষেধগুলো মেনে চলা।
করোনা সংক্রমণে রাজশাহী বিভাগের নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে পাবনা জেলা।শহর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। পাবনায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রন্ত হয়েছেন ১১৮ জন। জেলায় মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫'হাজার ৫৫ জন বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্হ্যবিভাগ। আক্রান্ত বেশীরভাগ রোগী বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। মানবিক প্রয়োজনে রোগীদের সেবায় এগিয়ে এসেছে জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকরা তারা অক্সিজেন বোতল নিয়ে রোগীদের বাসায় পৌঁছে দিচ্ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা আরো বাড়াতে হবে বলে মনে করেন জেলা স্বাস্হ্যবিভাগ।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: