ময়মনসিংহ বিভাগে একমাসে করোনায় আক্রান্ত ৩,৪৭২ ও মৃত্যু-৪৩
এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন (ময়মনসিংহ) :
করোনাভাইরাসের হটসপট এখনও ময়মনসিংহ বিভাগ। কিছুদিন কম থাকলেও ইদানিং আবারো আক্রান্ত, মৃত্যু, ঝুঁকি, আতংক এই বিভাগে সবই বাড়ছে। বিভাগের ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা ও শেরপুরসহ চার জেলায় গত জুন’২০২১ মাসে মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৭২জন এবং মৃত্যুরণ করেছে ৪৩জন। সরকার বাইরে সকলকে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করলেও অধিকাংশ মানুষই মাস্ক পড়ছে না। ১ জুলাই থেকে প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ কঠোরভাবে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগণকে সচেতন করছেন। ময়মনসিংহের সিটি কর্পোরেশন মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এনামুল হক লক ডাউনের বাস্তব চিত্র দর্শন করেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার টিমের সাথে কথা বলেন এবং দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক উপস্থিত ছিলেন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডাঃ মোঃ শাহ আলম জানান, গত ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত এই ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৬৪জন তন্মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে ১৯০ জন । এপর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ১লাখ ৩৯ হাজার ২৬৬টি নমুনার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগে গত জুনে একমাসে করোনায় আক্রান্ত জেলাওয়ারী ময়মনসিংহে ১৫৮৮জন, নেত্রকোনায় ৪২২, জামালপুরে ৬৭৫ জন, জন এবং শেরপুরে ৭৮৭ জন। মারা গেছেন ময়মনসিংহ জেলায় ৬ জন, নেত্রকোনা জেলায় ৮ জন, জামালপুরে ১৫ জন এবং শেরপুর জেলায় ১৪জন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডাঃ মোঃ শাহ আলম আরো জানান, করোনায় আক্রান্ত জেলাওয়ারী ময়মনসিংহে ৮,০৩৫জন, নেত্রকোনায় ১,৫৮৮, জামালপুরে ২,৮৮৮ জন, জন এবং শেরপুরে ১৫৫৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০,৮৯১ জন। এনিয়ে বিভাগে সর্বমোট মারা গেছেন ১৯০ জন। এরমধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৮৩ জন, নেত্রকোনা জেলায় ২৯ জন, জামালপুরে ৪৯ জন এবং শেরপুর জেলায় ২৯জন।
অকারণ ঘোরাঘুরি, শপিংসহ সবকিছু খুলে দেয়ার প্রেক্ষিতে অবাধ চলাচলের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ জানান।
গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য চলছে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা বাইরে ঘুরাঘুরি করার প্রেক্ষিতে করোনা সংখ্যা দিন দিন ব্যাপক হারে বাড়ছে। দ্রুত আক্রান্তের লাগাম ধরে টানতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জনগণকে বাধ্য করা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান।