সর্বাত্মক লকডাউনে তৎপর প্রশাসন :প্রথম দিনেই যাত্রীশূন্য শিমুলিয়া ঘাট
কায়সার সামির (মুন্সিগঞ্জ) :
সর্বাত্বক লকডাউন বাস্তবায়নে সকাল থেকে তৎপর মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। করোনা সংক্রমণ রোধে জেলায় ৩ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ২ প্লাটুন বিজিবি সকাল থেকে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী বিজিপি ও পুলিশ গাড়ি যুগে জেলায় বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে। তারা পণ্যবাহী যান ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যান জেলায় ঢুকতে দিচ্ছেনা। যারা ঘর থেকে বের হয়েছে তাদের যথাযথ কারণ দেখিয়ে শহরে প্রবেশ করছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের ২০টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
লৌহজং শিমুলিয়া ঘাটের অভিমুখে দুটি চেকপোস্টে কাজ করছে পুলিশ ও বিজিবি। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে লকডাউনের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একেবারে যাত্রী শূন্য অবস্থায় রয়েছে শিমুলিয়াঘাট।
তবে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিসি ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাট সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, সকাল থেকে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে। সকাল থেকে যাত্রীদের উপস্থিতি নেই ঘাটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেবনাথ জানান, সকাল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের আওতায় সরকারি প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ কাজ করছে। জেলায় ২০টি চেকপোস্টে ও প্রতিটি থানায় গাড়িতে মাইক লাগিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এবিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানিয়েছে, লকডাউন বাস্তবায়নে জেলায় ৩ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ২ প্লাটুন বিজিবি এবং র্যাবের কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। প্রবেশ পথগুলোতে রয়েছে চেকপোস্ট। এছাড়া আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইনক্লুড করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গ্রাম পর্যায় লকডাউন বাস্তবায়ন করবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদ ভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।