আনোয়ারায় ফের আছড়ে পড়ল করোনা
এম.এম.জাহিদ হাসান হৃদয় (আনোয়ারা):
ভারতীয় করোনা পরিস্থিতির পর দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসহ করোনার থাবায় ফের কাঁপতে শুরু করেছে পুরো দেশ। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) সহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানার অবস্থান হওয়ার কারণে সেখানে প্রতিনিয়ত একসাথে কাজ করে চলছে বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক। স্থানীয় ও এসব শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বিধি ও মাস্ক ব্যবহারে সচেতন না হওয়ায় নদীর ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়েছে করোনা। তাই হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। মাঝখানে করোনা স্থিতিশীলতা থাকলেও বর্তমানে পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনা ফের পাগলা ঘোড়ার ন্যায় ছুটেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক পরিসংখ্যানে এই চিত্র ওঠে এসেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ২৬জুন পর্যন্ত এই ১বছরে দুই মাস ১৩দিনে আনোয়ারায় করোনা রোগী সনাক্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬৩৮ জনে। তারমধ্যে শুধু মাত্র পহেলা জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩১ জনের দেহে করোনার বিষ শনাক্ত হয়েছে।
উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ ২৬ জুন ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ২০ জন এবং ২৭ জুন ৪৩টি নমুনায় সনাক্ত হয়েছে ১৭ জন। এই যাবত যা সর্বোচ্চ রেকর্ড। এই পর্যন্ত সর্বমোট ৪২২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত ৬৩৮ জন। এবং আনোয়ারায় করোনায় সর্বমোট মৃত্যু সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪ জনে।
অপর দিকে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে আনোয়ারার মধ্যে ছিলো বেশ উৎসব মুখর অবস্থা। আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রথম ডোজে টিকা নিয়েছে- ১২০৫৭ জন দ্বিতীয় ডোজে টিকা নিয়েছে- ১০১৪৩ জন। বর্তমানে প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা স্থগিত রয়েছে ।
এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাহিদ মোঃ সাইফুদ্দীনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, যেহেতু আনোয়ারায় সংক্রমণের সংখ্যা কম বেশি বেড়েয় চলেছে সেহেতু করোনার বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তিনি আরো বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এই বছর যেহেতু সংক্রামনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু সকলকে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে হবে । বিশেষ করে সকলকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে এবং মাস্ক পরিধান ও বাইরে থেকে এসে সাবান, স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণু মুক্ত করতে হবে। করোনা প্রতিরোধে সচেতনতায় এক মাত্র অবলম্বন এছাড়া আর বিকল্প কোন উপায় নেই।