কঠোর লকডাউনে খোলা থাকছে পোশাক কারখানা শ্রমিকদের রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা হতে পারে কারখানায়
কে এম রুবেল (চট্টগ্রাম):
করোনার সংক্রমণ বাড়ছে এ নিয়ে চিন্তিত সর্ব সাধারণ থেকে উচ্ছ মহল পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতিতে জনগন কে সুরাক্ষা রাখার জন্য আগামী সোমবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘কঠোর লকডাউন আর এ কঠোর লকডাউনেব‘বিশেষ ব্যবস্থায়’ চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পোশাক কারখানাগুলো খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কঠোর লকডাউন এর পোশাক কারখানাগুলো খোলা রাখার অনুমতিও দিয়েছে সরকার সারাদেশে ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউনে’ জরুরি কিছু পরিষেবা ছাড়া বাকি সবকিছুই বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছে সরকার। এ সময় বন্ধ থাকবে সব ধরনের যানচলাচলও। বিষয়টি মাথায় রেখে পোশাকশ্রমিকদের কারখানায় কিভাবে উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়েও ভাবছে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
জানা গেছে, শুধু চট্টগ্রামে সচল গার্মেন্টসের সংখ্যা তিনশতের কাছাকাছি। এসব তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন অন্তত চার লাখ শ্রমিক। যানচলাচলই যেখানে বন্ধ থাকছে, সেখানে এতো বিপুলসংখ্যক শ্রমিককে কিভাবে কারখানায় আনা সম্ভব— এ নিয়েও
উঠছে প্রশ্ন।
সরকার সহযোগিতা দিলে এটা কঠিন কিছু নয়। চট্টগ্রাম ইপিজেডের আশেপাশেই প্রায় ৬০ ভাগ শ্রমিকের আবাসস্থল। অনুমতিসাপেক্ষে তারা সেখান থেকে অনায়াসে কাজে যোগ দিতে পারবে। অন্যদিকে পোশাকশ্রমিক অধ্যুষিত চকবাজার-কালুরঘাট এলাকা থেকে বাকি শ্রমিকদের কারখানায় যাওয়ার বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করে দিলেই আর চলাচলের সমস্যা থাকছে না।’
তবু লকডাউন চলাকালে দূরের শ্রমিকদের জন্য সাময়িক একটি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছেন পোশাক কারখানার মালিকরা। সেক্ষেত্রে কারখানা থেকে দূরে বসবাস করেন যেসব শ্রমিক, লকডাউন চলাকালে তাদেরকে কারখানার আশেপাশে কিংবা কারখানার ভেতরেই রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।তবে কৌশল নির্ধারণের ব্যাপারে সবকিছুই নির্ভর করছে বিজিএমইএ ক্রাইসিস কমিটির সভা ঘিরে।