শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী পারাপার অব্যাহত
কায়সার সামির (মুন্সিগঞ্জ):
সারাদেশে সোমবার সকাল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে যাত্রী পারাপারে চাপ বেড়েছে। শনিবার সকাল থেকে ফেরি ঘাট এলাকায় যাত্রীরা থেমে থেমে আসছে শুরু করেছে। এছাড়া ব্যাক্তিগত ও পণ্যবাহী যানের চাপ ছিলো চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের পাশাপাশি যানবাহনও বেড়ে চলছে।
মাওয়া নৌ-পুলিশের পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, বিভিন্ন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘাটে আগত যাত্রীরা পায়ে হেটে আসছে। তবে যে ভীড়টি সৃষ্টি হয় তা স্বল্প সময়ের জন্য। ১৪ টি ফেরি জরুরী সেবার যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সে পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে মানবিক বিবেচনায় আগত যাত্রী ও ব্যাক্তিগত যানবাহনও পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি যখন ঘাটে নোঙ্গর করে, তখন যাত্রীদের নামার ভীড়। আর যখন ফেরি ছেড়ে যায়, তখন যাত্রীদের উঠার ভীড়। তাছাড়া ফেরি ঘাট প্রায়শই ফাঁকা। বর্তমানে ছোটবড় গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স সহ দেড় শতাধিক যানবাহন রয়েছে পারের অপেক্ষায়।
মুন্সিগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রাফিক ও জেলা পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কোন যানবাহন ঘাটমুখি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া প্রতিটি উপজেলাসহ জেলা সদরেই ৬টি চেকপোস্ট রয়েছে। জরুরী সেবায় দোকান ছাড়া সকল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। যারা খোলা রাখছেন তাদের প্রাথমিক বুঝিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল থেকে জেলায় কঠোরভাবে লকডাউন পালনে কার্যকর বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।