শিরোনাম

South east bank ad

আচাঁর বিক্রি করে স্বাবলম্বী নান্দাইলের শফিকুল ইসলাম

 প্রকাশ: ২০ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন,:

বিরিয়ানী,ঝাল মুড়ি ব্যবসা করে কোন সুবিধা করতে পারিনি। দিনশেষে গুনতে হয়েছে লোকসান। কোন রকম পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চললেও টেনশনে ছিল মাথা ভরপুর। তবুও হার মানতে নারাজ ব্যবসার কাছে। কথাগুলো বলেন, নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের পাছ মহাবৈ গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম(৩৫)।

জীবন যুদ্ধে হারা না মানা এক যুবক। সংসারের প্রয়োজন মিটাতে সকল কাজকেই আপন মনে করে। শফিকুল ইসলামের ব্যবসাতে যখন লোকসান দিশেহারা । তখন কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের মাঠে মুক্তমঞ্চ বসে চিন্তা করেন। কি ব্যবসায়ে টিকে থাকা সম্ভব, যা সারা বছরই বিক্রি করা যাবে। মাথায় ঘুরপাক বিভিন্ন মৌসুমী বিভিন্ন রকম আঁচার তৈরি করবে। যা সকল বয়সের নারী পুরষ শিশু সবার কাছে প্রিয়।

বিভিন্ন বাজার থেকে আঁচার তৈরির উপকরন সংগ্রহ করে। নিজ বাড়িতে অত্যন্ত স্বাস্থ্য সম্মত আঁচার তৈরি করে। আঁচার বিক্রি জন্য ভ্যানের উপরে এ্যালোমিনিয়াম ও কাঁচ দিয়ে তৈরি একটি চারকোনা বাক্স। তাতে ২০ প্রকার আঁচার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন সকালে ভ্যানে করে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসার সামনে বিক্রি করে ।

গতবছর থেকে করোনা পরিস্থিতির কারনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যবসায় দেখা দেয় লোকসান। পরে বেঁচে নেয় ফুটপাত, প্রতিদিনই উপজেলার নান্দাইল বাজার,নদীরপাড়,বঙ্গবন্ধু চত্বর, ভূমি অফিস,বিশাল মার্কেট সংলগ্ন রাস্তায় পথচারী, দোকানদারদের নিকট আঁচার বিক্রি করে। তবে ফুটপাতেই ভাল বিক্রি হয়,তাই ফুটপাতেই ব্যবসাই মনে করি । প্রতিদিন ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার বিভিন্ন জাতের আঁচার বিক্রি করে।

শফিকুল ইসলাম আচাঁর বিক্রি করে বড় ছেলে মো.সামির হোসেন মেঝো ছেলে মো.সায়িন হোসেনের পড়াশোনার খরচ মিটাচ্ছেন। ১ মেয়ে ও স্ত্রীকে সহ পরিবারের ৫ জন সদস্য নিয়ে সুখেই আছে। বারুইগ্রাম মাদরাসার হেফজ বিভাগে শিক্ষার্থী মো.ইমরান হোসেন জানান, নান্দাইল আসলেই আঁচার কিনে মাদরাসায় নিয়ে যাই। সব ধরনের আঁচার পাওয়া যায় সহজে এ দোকানে পাওয়া যায়। তাছাড়া ছাইলতা,বড়ই,তেতুঁলের আঁচার টা সবচেয়ে সুস্বাদু।

দিনা আক্তার নামের এক গৃহিনী বলেন, ফুটপাতের আঁচার কেউ কিনতে চায় না কিন্তু উনার আঁচার খুব ভাল। আমি প্রতিনিয়তই নদীরপাড় থেকে কিনে বাসায় নিয়ে যাই। পরিবারে সবাই এ আঁচার পছন্দ করে গুনে ও মানে স্বাদেও ভাল।

শফিকুল ইসলাম জানান,এ ব্যবসা করে আল্লাহর রহমতে আমি অনেক স্বাবলম্বী। আগে রোজগারের আশায় বিভিন্ন জায়গায় যেতে হত। এখন প্রতিদিনই ইনকাম হচ্ছে। তাছাড়া অনেক খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারী দামে আঁচার বিক্রি করছি। আমার এই প্রতিভা দেখে অনেকেই আবার আঁচারের ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: