জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে দক্ষিন ও উত্তরাঞ্চলের এলাকাবাসীরা
মো. আবু জুবায়ের উজ্জল (টাঙ্গাইল):
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর উপর পাকা ব্রিজ, পৌরসভার বাইপাস বংশাই ও কুমুদিনী হাসপাতাল রোডের দুই পাশে ড্রেন নির্মাান না হওয়ায় রাস্তায় জলাবদ্ধতা ও নদী পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে দক্ষিন ও উত্তর প্রত্যন্ত অঞ্চলের এলাকাবাসীর। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা ও কাঁদা সৃষ্টি, বর্ষা আসলেই নদী পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় জনগনের।। পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর গত ২২ বছর ধরে বংশাই, কুমুদিনী হাসপাতাল রোডে ও কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটে এমন ভোগান্তির চিত্র বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন।
মির্জাপুর পৌর এলাকায় কুমুদিনী সংলগ্ন খেয়াঘাট । খেয়াঘাটের দক্ষিনাঞ্চলে ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামে হাজার হাজার লোকের বসবাস। পাকা ব্রিজ না হওয়ায় নৌকা পারাপার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বর্ষা আসলেই নৌকা ডুবে প্রতি বছরই মারা যাচ্ছে দ্ইু চার জন। দক্ষিনাঞ্চল কয়েকজন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেল, তারা বলেন পাকা ব্রিজ না হোক যদি এই লৌহজং নদীর উপর সরকারের পক্ষ থেকে একটি বেলী ব্রিজ নির্মান করা হত তাহলে আমারা এই ভোগান্তি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতাম।
পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে ৯ ওয়ার্ড নিয়ে মির্জাপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভার বয়স ২২ বছর হলেও বংশাই রোডের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেনি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর পানি জমে চলাচল সমস্যা হয়ে পরে।অপরদিকে এই জলাবদ্ধতার কারনে সমস্যা হচ্ছে আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের । বৃষ্ঠি হলেই পানি দোকানের ভিতর প্রবেশ করে বৃষ্টির পানি ক্ষতি হচ্ছে হাজার হাজার টাকার মালালামাল এমনি অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অটোরিক্সা চালকদের। এই জলাবদ্ধতার উপর দিয়ে অটোরিক্সার মর্টার পানির নিচে তলিয়ে যায় ফলে মর্টার অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে ব্যবসায়ী মো. সেলাইমান মিয়া বলেন, কালিবাড়ি রোড হতে মির্জাপুর বাইপাস ও বাইপাস হতে ত্রিমোহন-বংশাই রোডের খুবই করুন দশা। মুল সড়ক হতে এই রাস্তাটি নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর কখনো হাটু পানি আবার কখনো কোমর পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
একই অবস্থা কুমুদিনী হাসপাতাল রোডের। কিন্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা না হওয়ায় একুট বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। পৌরসভার মধ্যে গুরুত্বপুর্ন এই দুটি রাস্তার উন্নয়নসহ ড্রেন নির্মান না হওয়ায় এলাকাবাসির দুর্ভোগের শেষ নেই। একটু বৃষ্টিতে রাস্তায় জলাবদ্ধতা ও কাঁদায় পরিপুর্ন হয়ে চলাচল মারাত্বক ভাবে অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।
মির্জাপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, সাসেক নামে একটি উন্নয়ন সংস্থা বংশাই রোডের ড্রেন নির্মানের কাজ করবেন। কুমুদিনী হাসপাতাল রোডের রাস্তা তাদের নিজস্ব। তাদের মতমত নিয়ে এ রোডের কাজ করা হবে।
এবিষয় মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল বলেন, কুমুদিনী হাসপাতাল রোড ও বংশাই রোডের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। কুমুদিনী হাসপাতাল হাসপাতাল রোড ও বংশাইরোডের জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে আমাদর পৌরসভা থেকে আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাদের মাননীয় এমপি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ একাব্বর হোসেন এমপি হস্তক্ষেপে বংশাই রোড পাকাকরন সম্ভব হয়েছে। অতিশিগ্রই বংশাই ও কুমুদিনী রোডের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করি।
p