ঠাকুরগাঁওয়ে আবারও ডেলটা হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফলতির অভিযোগ
ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু (ঠাকুরগাঁও):
ঠাকুরগাঁওয়ে আবারও ডেলটা হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফলতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী ঠাকুরগাঁও শাহপাড়ার মীর শাহাদাত হোসেন রতন অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রী শারমিন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গত ২৩শে মে ঠাকুরগাঁও কালীবাড়িতে অবস্থিত ডেলটা হাসপাতালে সিজার করান।গাইনি ডাক্তার স্মৃতি হক এসময় সাইটোমিস ওষুধসহ ভালোভালো কোম্পানির ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক লিখেন। কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ সেসব ওষুধ ব্যাবহার না করে নিন্মমানের সব কোম্পানির ওষুধ ব্যাবহার করে।এমনকি সাইটোমিস রোগীর শরীরে ব্যাবহারই করেনি।২৬শে মে শারমিনকে রিলিজ দেবার পর বাসায় গিয়ে শুরু হয় শরীরে জ্বালাযন্ত্রণা। রতন অভিযোগ করে বলেন,এরপর থেকে সে তার স্ত্রীকে নিয়ে নিরাপদ হাসপাতাল,আমাদের হাসপাতাল,প্রাইম হাসপাতাল এমনকি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করেন।এতে করে কোন লাভই হয়নি।অবশেষে রতন তার স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার স্মৃতি হকের শরণাপন্ন হন।ডাক্তার স্মৃতি হক আল্ট্রাসনোগ্রামের পরামর্শ দেন।এতে করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জমাটবদ্ধ রক্ত ধরা পড়ে।বুধবার(০৯ জুন) রাতে রোগীর স্বজনদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।এব্যাপারে ডাক্তার স্মৃতি হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন,প্রতিটি রোগীই আমি আন্তরিকতার সাথে দেখি।কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে ভুল করেছে এর দায়দায়িত্ব কে বহন করবে।তিনি বলেন,আমি স্পষ্ট করে সাইটোমিস ট্যাবলেট ইন্ডিকেট করে দিয়েছি।এটা সিজার পরবর্তী শরীরের ময়লা রক্ত পরিস্কার করে।শুধু তাই নয় আমি যেসব ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক লিখে দিয়েছি তার কোন ওষুধই তারা না দিয়ে নিম্নমানের কোম্পানির ওষুধ ব্যাবহার করেছে।এতে করে রোগীর কিডনিতে ইফেক্ট হতে পারে। যাতে আমার অত্যন্ত কষ্ট হচ্ছে।এই রোগীর কষ্ট দেখে।তিনি আরও বলেন,আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি।ফিরে এসে দেখি কি করা যায়।
উল্লেক্ষ্য ডেলটা হাসপাতালের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ভুল চিকিৎসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।