ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্রবেশের সড়কই অসুস্থ
মোঃ রাজু খান (ঝালকাঠি):
ঝালকাঠি জেলার সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ১শ শয্যা বিশিষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল। হাসপাতালটিতে প্রবেশে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটি পৃথক গেট ও সড়ক রয়েছে। পূর্ব গেট দিয়ে প্রবেশে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রেও একমাত্র যাতায়াতের পথ। উভয় দিকের সড়কেই খানা-খন্দক রয়েছে অসংখ্য। বৃষ্টি হলেই পানি জমে সড়কটি ডুবে যায়। যার ফলে কোন জায়গা খানা-খন্দক আর কোন জায়গায় গর্ত কিছুই বুঝা যাচ্ছে। রিক্সা, অটো বাইক, মটোরসাইকেল, পথচারী কারোর জন্যই চলাচলের সুগম না। যে যেভাবেই যাতায়াত করুক না কেন তাকে অতি ঝুকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। এমনটাই জানালেন মঙ্গলবারে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া জনসাধারন। জানাগেছে, ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল চত্ত্বরে আড়াই শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। ভবনের জন্য মালামাল সরবরাহ করার ভারী গাড়ির কারণে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ না করেই পুরাতন হাসপাতালের ওয়াল ও ফ্লোরে টাইল্স ব্যবহার করে সুসজ্জিত করার কাজ করছে। এ প্রকল্পগুলো লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করলেও জনসাধারনের চলচলের রাস্তাটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেই। জনস্বার্থের দিকে তোয়াক্কা না করে অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদারদের স্বার্থের দিকেই তাকাচ্ছে সংশ্লিষ্ট গণপূর্ত বিভাগ। এ উন্নয়ন রোগীদের কোন ধরনের সেবা বা পরিসেবার ক্ষেত্রে কোন কাজে লাগছে না, শুধু অর্থ অপচয় ছাড়া। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাগ্রহিতাদের। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেতলস গ্রামের বারেক হাওলাদারের অসুস্থ্য স্ত্রী রাজিয়া বেগম(৫৮) কাঁদা-পানির সড়ক দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে প্রবেশের সময় হোচট খেয়ে গুরুতর আহত হয়। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডাঃ রতন কুমার ঢালী বলেন, গণপূর্ত বিভাগকে সংক্ষিপ্ত এই সড়কটুকু সংস্কার করার জন্য বারবার লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো সত্বেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তারা শুধু হাসপাতালেল টাইলস বসিয়ে চলছে।