আনোয়ারায় টিম রেইনবোর হাত ধরে গৃহহীন ইদ্রীসের নতুন ঘরের স্বপ্ন পূরণ
এম.এম.জাহিদ হাসান হৃদয় (আনোয়ারা):
বৃষ্টিতে ছাতা হিসেবে ব্যবহার করতে,প্রখর রোদে মাতার ছায়া করে রাখতে,আর কনকনে শীতে খাঁথা হয়ে থাকতে ছিলোনা তার কোনো ঘর। আর ঘরের নামে যেটা ছিলো তাতে অল্প বৃষ্টিতেই পানি থইথই করতো, রোদে সূর্য উঁকি-ঝুকি মারতো তার ঘরে। মাথা গোঁজানোর ঠাঁই ছিলনা কোনোমতে। অভাব-অনটনের সংসারে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো যার পরিবারের।বঙ্গোপসাগরের তীরে ছিঁড়া পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে কোনমতে মাথা গোজানোর ব্যর্ত চেষ্টা করতেন যিনি।প্রতিদিন যার পলিথিন দিয়ে মুড়ানো ঘরটিতে জোয়ার-ভাড়ার খেলা চলতো। বর্ষায় যার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যেত। একটি ঘর নির্মাণ করা তার কাছে স্বপ্ন ছাড়া বৈ-কি। বলছিলাম আনোয়ারার উপজেলার ৩নং রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সরেঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ ইদ্রিচের দীর্ঘদিন ধরে বেচে থাকার জীবন যুদ্ধের কথা।
আনোয়ারার বিভিন্ন মহলে আবেদন,অনুনয়,অনুরোধ করার পরও কেউ তার গৃহহীন কান্নাটা শুনেনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আনোয়ারা উপজেলায় বরাদ্দ পাওয়া ৬০০টি ঘরের মধ্যেেও তার নামে ছিলোনা কোনো ঘর। এমন করুন অবস্থার কথা আনোয়ারার সামাজিক সংগঠন "টিম রেইনবো"র কানে পৌছালে সংগঠনটি ইদ্রিচের পরিবারের জন্য নতুন গৃহ নির্মাণের ব্যবস্থা করে। চারদিকে রঙিন টিন দিয়ে রাঙিয়ে এইভাবেই ইদ্রিচের পরিবারের ঘর করার স্বপ্নটা পূরণ হলো "টিম রেইনবো"র হাত ধরে।
গত শনিবার (০৫ জুন) বিকাল ০৪ টায় মায়াকুঞ্জ নামক নির্মাণ করা ঘরটি "টিম রেইনবো"র সদস্যরা ইদ্রিচের কাছে হস্তান্তর করে।
একনজর মায়াকুঞ্জের দিখে তাকিয়ে থেকে মোহাম্মদ ইদ্রিচ বলেন, এতদিন ঘর ভাঙা থাহায় ঝড়-বৃষ্টিত বেশি হষ্ট পাই। বাজান তোয়ারা আরে ঘর বানায় দনে এতদিন পর চোখ বুঝি ঘুম যেত পেরগুম। আল্লাহর হাছে তোয়ারাল্লে মনোত্তোন দোয়া গরির।
ইদ্রিচ মিয়ার সপ্ন পূরণের বিষয়ে " টিম রেইনবো"র এডমিন রিয়াদুল আলম জানান,আমাদের সংগঠনের বিভিন্ন মানবিক প্রজেক্টের মধ্যে স্বাধীন প্রকল্প অন্যতম। এই প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত আমরা ৩টি পরিবারকে মায়াকুঞ্জ গৃহ উপহার দিয়েছি।
আজ মোহাম্মদ ইদ্রীচের ঘর নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমাদের সংগঠন ৬১টি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে।টিম রেইনবোর মানবিক কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা চলছে বলেও তিনি জানান।