বাথরুমের দরজা ভেঙে ঢাবি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
ইসরাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। করোনার কারণে হল বন্ধ থাকায় তিনি আজিমপুর সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে সাবলেটে থাকতেন। আজ বাথরুমের দরজা ভেঙে ইসরাত জাহান সৃষ্টির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন লাশটি উদ্ধার করে। তবে তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন বলেন, সকাল সোয়া সাতটার দিকে সরকারি কোয়ার্টারের ১৮/২ নম্বর আট তলা ভবনের নিচতলার বাথরুমের দরজা ভেঙে সৃষ্টির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তুষ্টির রুমমেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের রাহনুমা তাবাসসুম রাফি বলেন, ‘গতকাল বিকেলে আমরা কয়েকজন বন্ধুসহ নিউমার্কেট গিয়েছিলাম। নিউ মার্কেট থেকে ফেরার পথে হালকা বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম। আমরা জানতাম না তুষ্টির অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে। বিকেল ৩টায় আমরা বাসায় ফিরে আসি। তখন তুষ্টি বলেছিলো তার কিছুটা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। রাতে আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ছিলাম তখন মুভি দেখছিলো বা ফোন স্ক্রল করছিলো। সকাল বেলা বাসার আন্টির ডাকাডাকিতে আমাদের ঘুম ভাঙে।আন্টি এসে আমাদের বলছিলো বাথরুমের দরজা বন্ধ কেনো? অনেকক্ষণ ধরে কলের পানি পড়ছে। তখন আমরা দেখি বাথরুমের দরজা বন্ধ করা কিন্তু তুষ্টি তার বেডে নেই। অনেকক্ষণ ধাক্কাধাক্কি করেও দরজা খুলতে না পেরে আমরা ফায়ার সার্ভিসে কল দেই। ফায়ার সার্ভিস এসে সকাল ছয়টায় তাকে উদ্ধার করে।’
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ সকালে আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টার থেকে আমাদের একজন ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
লালবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, পলাশীর ওই সরকারি কোয়ার্টারে ইসরাতসহ আরও কয়েকজন সাবলেটে ভাড়া থাকতেন। গতকাল রাতে ইসরাত বৃষ্টিতে ভিজে বাথরুমে গোসল করতে যান। সারারাত বাথরুম থেকে আর বের হননি। খবর পেয়ে সকালে বাথরুমের মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এখন সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।