শিরোনাম

South east bank ad

শহরে নতুন করে বাড়ি বানানোর সময় ছাদবাগানের বিষয়টি মাথায় রাখুন

 প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

রাজধানীর ঢাকায় অধিক জনসংখ্যা, যানবাহন ও গাছপালা কমে যাওয়ার কারণে ঢাকার পরিবেশ দূষণ অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় অনেক বেশি। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে ছাদবাগান। শহর অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছাদবাগান প্রকল্প সম্প্রসারণ করা সম্ভব হলে তা কার্বন-ডাই-অক্সাইডসহ বেশকিছু ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা কমিয়ে দূষণ কমাবে এবং পরিবেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করবে। ছাদবাগান শুধু শখ থেকে নয়, পরিবেশের প্রয়োজনে বাগান করতে হবে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ নির্মল থাকবে অন্যদিকে পারিবারিক ফুল, ফল ও শাকসবজির চাহিদা মিটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখারও সুযোগ রয়েছে।
এখন যেসব নতুন নতুন আবাসন তৈরি করছে সবারই সামনে পেছনে গাছ রোপণ করার জন্য আলদাভাবে জায়গা রাখা উচিত। যারা শহরে নতুন করে বাড়ি বানানোর চিন্তা করছেন তারা অবশ্যই ছাদবাগানের বিষয়টি মাথায় রেখেই বাড়ি তৈরি করবেন বলে আশা করি। ভালো ও সুস্থ পরিবেশ ফিরে পেতে ছাদবাগানের বিকল্প নেই। শুধু তাই নয় এতে একদিকে যেমন পরিবেশ নির্মল থাকবে অন্যদিকে পারিবারিক ফুল, ফল ও শাকসবজির চাহিদা মিটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখারও সুযোগ রয়েছে।’
রাজধানীর ফার্মগেটের তেজগাঁও স্টেশন রোডের বাসিন্দা প্রকৃতিপ্রেমী জাহাঙ্গীর আলম ছাদবাগান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাড়ি করার আগে নিচে যে ছোট ছোট গাছগুলো ছিলো আমি সেগুলো নষ্ট করিনি। তুলে এনে ছাদে মাটি দিয়ে পুনরায় রোপণ করি। দীর্ঘদিন ধরে আমি ছাদবাগান করে আসছি। যখন আমি বিকেলে ছাদের ওপরে উঠি বাগানের গাছগুলো আমার ভেতরে অন্যরকম প্রশান্তি এনে দেয়। আমার ছাদ বাগান দেখে এ এলাকার অনেকেই এখন ছাদ বাগান করছে এবং করতে উৎসাহী হচ্ছে। আমি মনে করি প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করতে প্রতিটি ছাদে বাগান করা উচিত।’

ঘনবসতি শহরে পাশাপাশি ঘনবসতি গ্রামেও অনেকেই এখন ছাদবাগান করতে আগ্রহ হয়ে উঠছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার সদর থানার বুধল গ্রামের এমন একজন বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বাজারের কাছে বাড়ি হওয়ায় আশপাশে গাছপালা না থাকায় নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন ছাদবাগান।

বাগান নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত ৮ বছর যাবত আমি ছাদবাগান করে আসছি। প্রথম প্রথম দুই একটা গাছ রোপণ করলেও কিছুদিন পরেই এর সম্প্রসারণ করি। এখন পুরো ছাদ জুড়েই বিভিন্ন রকম গাছ। বিশেষ করে বিদেশি ফল ড্রাগন আমার পুরো ছাদজুড়ে রয়েছে। এ গাছের ফল আমার পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। বাগানে আর রয়েছে আম গাছ, লেবু গাছ ও বিভিন্ন রকম মরিচ গাছ। এছাড়া আছে ফুলের গাছও। বাগান করে আনন্দ পাচ্ছি, সেটা কোন কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না।’

একইসঙ্গে যারা ছাদবাগান নিয়ে কাজ করছে ছোট ছোট উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে তাদেরকে ক্ষুদ্রঋণের আওতায় এনে আর্থিকভাবে সহায়তা করা। ফলে এসব কাজে উদ্যোক্তারা আরও বেশি উৎসাহী হবে জানান তিনি।

আমাদের পরিবেশকে সুস্থ রাখতে ছাদবাগান অনেকে বড় ভূমিকা পালন করছে। সামনে যদি এর পরিধি আরও বাড়ানো যায় তাহলে আমাদের পরিবেশকে অনেকটা দূষণ মুক্ত রাখা সম্ভব বলে জানান আহসান রুনি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: