শিরোনাম

South east bank ad

গজারিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়েছেন কোটিপতি, বহিরাগত ও অবিবাহিতরাও

 প্রকাশ: ৩১ মে ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

কায়সার সামির (মুন্সীগঞ্জ):

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ঘর পেয়েছেন কোটিপতি, অন্য জেলার বাসিন্দা এমনকি অবিবাহিত মেয়েরাও।

গজারিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে জানা গেছে, সমগ্র গজারিয়া উপজেলায় দুই ধাপে ১৭০ পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ঘর পাচ্ছেন ১৫০টি পরিবার।

সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ঘর কেন্দ্রীয় বাণিজ্য করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

তালিকা ধরে দেখা যায় ১৫০ জনের তালিকায় ১১৩ নাম্বারে নাম রয়েছে সাজেদা আক্তার নামে এক নারীর। খবর নিয়ে দেখা যায় সাজেদা আক্তারের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায়। স্বামীসহ স্থানীয় একটি শিল্প কারখানায় কাজ করেন তিনি। স্থানীয় এক ভূমি অফিসের কর্মকর্তার বাড়িতে ভাড়া থাকে সে সুবাদে টাকার বিনিময় হাতিয়ে নিয়েছেন সরকারি ঘর।

তালিকায় ১২১ নম্বরে রয়েছে সোনিয়া আক্তারের নাম সে ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত মহিলা সদস্য। খবর নিয়ে জানা গেছে সোনিয়া আক্তার স্বচ্ছল তার নিজের এবং তার স্বামীর বাড়িতে সম্পত্তি এবং ঘরবাড়ি রয়েছে। অপরদিকে একজন ভূমিহীন কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা থাকায় এটি প্রমাণ করে সোনিয়া আক্তার ভূমিহীন নয়।

তালিকায় ১২৩ নাম্বারের নাম রয়েছে লিটন মিয়ার। জানা গেছে তার পরিবারের একাধিক সদস্য ইতিপূর্বে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়েছে।

তালিকায় ১০২ নাম্বারে নাম রয়েছে নিপা দাসের। নিপা এখনো অবিবাহিত এবং পরিবারের অবস্থা স্বচ্ছল। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় তাকেও দেওয়া হয়েছে ঘর।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহিদ মোঃ লিটনের সাথে তিনি বলেন, ঘর বরাদ্দ দেওয়ার সময় তাদের মতামত নেওয়া হয়নি। তালিকায় তার ইউনিয়নে এমন কয়েকজন রয়েছে তাদের তিনি নিজেও চিনেন না এবং যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য নয়।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর মোবাইলে ফোন করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

১৫০ জনের তালিকা ধরে অনুসন্ধান করে এরকম অসংখ্য অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে। তাই প্রতিটি ইউনিয়নে ঘর বরাদ্দের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় গজারিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, তালিকায় কিছু অনিয়ম হয়েছে। তার চোখেও পড়েছে বিষয়গুলো তবে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, ঘর বরাদ্দ দেওয়ার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা যুক্ত ছিলেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলেন আমার দায়িত্ব শুধু ঘর বানিয়ে দেওয়া, ঘর বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে কিছু বল আরেকটি আর আমার নেই।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েকটি অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: