তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যহত, দৌলতদিয়ায় ৬ কিঃমি যানবাহনে দীর্ঘ সারি
খন্দকার রবিউল ইসলাম (রাজবাড়ী):
দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় তীব্র স্রোতের কারনে ৬ শতাধিক যানবাহন ও পন্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
রবিবার (৩০ মে) দুপুর ১ টায় দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে যাত্রীবাহি বাস, পন্যবাহি ট্রাক, কার্ভাট ভ্যান ও বাইপাস সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দুরে গোয়ালন্দের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া অাঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়কে পন্যবাহি ট্রাক ও কার্ভাট ভ্যান সিরিয়ালে থাকতে দেখাগেছে। এতে প্রায় ৬শ যানবাহন পারাপারের জন্য অপেক্ষামান রয়েছে।
এদিকে সিরিয়ালে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা নদী পারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। ফলে তীব্র গরম, খাওয়া-দাওয়া ও টয়লেট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
এছাড়া ট্রাক গুলোকে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে নদী পারের জন্য। ফলে সময় মত মালামাল পরিবহন করতে না পারায় বিপাকে পড়ছেন ট্রাক চালক ও মালিক পক্ষ। তাছাড়া মালামাল নিয়ে সড়কের খোলা অাকাশের নিচে থেকে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন ট্রাক চালকরা। এবং যেখানে নাই গোসল, টয়লেট ও খাবার সু-ব্যবস্থা। গাড়ি রেখে দুরে গিয়ে গোসল, টয়লেট ও খাবার সেরে অাসতে হচ্ছে।
সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক আলিম শেখ বলেন, এক দিন হলো গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় অাটকে আছেন। যেখান থেকে ঘাট ১৪ কিলোমিটার দুরে। কবে-কখন ফেরির নাগাল পাবেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন। এখানে খাবার হোটেল, পাবলিক টয়লেট না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভ্যানে করে খাবার বিক্রি করা হকার্সদের থেকে অতিরিক্ত মূল্যে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। এছাড়া সময় মত মালামাল পরিবহন করা নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন।
একাধিক ঢাকামুখি বাস যাত্রী বলেন, ঘাট এলাকায় এসে তারা ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরির অপেক্ষায় বসে অাছেন। তীব্র গরমে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া টয়লেট ও খাবার সমস্যায় পড়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ফেরির নাগাল পেলে একটু শান্তি পেতেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক(এজিএম) ফিরোজ শেখ জানান, লকডাউন শেষ হতে চলেছে। হয়তো সে কারণে ঢাকায় ফিরছে অনেকে। যে কারণে যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়েছে দৌলতদিয়ায়।এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কাটলেও নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ফলে যানবাহন পারাপার কিছুটা ধীরগতি তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এরুটে ছোট বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এবং দৌলতদিয়া প্রান্তের ৩টি ঘাট সচল রয়েছে। ফেরি স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করলে দ্রুত চাপ কমে যাবে।