পদ্মা নদীতে ট্রলার ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে গনপিটুনিতে একজন নিহত, আহত দুই
কায়সার সামির (মুন্সিগঞ্জ):
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয় উপজেলার পদ্মা নদীতে ট্রলার ছিনতাই করতে গিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় জনতার হাতে আটক হয়ে এক ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিলে রোববার সকালে সেই ছিনতাইকারী মারা গেছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো দুইজন ছিনতাইকারী। এছাড়া অপর এক ছিনতাইকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
নৌ পুলিশ নিহত ছিনতাইকারী ফয়সাল এর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করছে। বাকি দুই ছিনতাইকারী লৌহজং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নৌ পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মাওয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ৪নং ভিআইপি ফেরি ঘাট থেকে অজ্ঞাত ৪ জন ব্যক্তি পদ্মা নদীতে ঘুরবে বলে ২৫০০ টাকায় মাঝি আমিনুলের (১৬) ট্রলার ভাড়া করে। পরে ট্রলারটি পদ্মার পালের চরে গেলে ওই ব্যক্তিরা মাঝির উপর হামলা করে এবং হাত-পা,চোখ-মুখ বেঁধে তার ট্রলারটি ছিনতাই করে। হাত-পা,চোখ-মুখ বাঁধা আহত অবস্থায় বাবুরচর নামক স্থানে মাঝি আমিনুলকে ফেলে ট্রলার নিয়ে চলে যায় নিতাইকারীরা।
স্থানীয় জেলেরা ব্যাপারটি লক্ষ্য করে আহত মাঝিকে উদ্ধার করে এবং তাকে নিয়ে ছিনতাইকৃত ট্রলারটির পিছনে ধাওয়া করে। তারা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। নৌ-পুলিশ খবর পেয়ে পদ্মার একটি চর তিন ছিনতাইকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় একজন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। পরে আটককৃতদের পাড়ে নিয়ে আসলে ক্ষিপ্ত জনতা তাদের গনপিটুনি দিলে ৩ ছিনতাইকারী গুরুতর আহত হয়। তাদের পুলিশের হেফাজতে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে ফয়সাল নামের একজনের মৃত্যু ঘটে। বর্তমানে ছিনতাইকারী সদস্য ২জন ও ট্রলার মাঝি সহ মোট তিনজন পুলিশ হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, গণপিটুনিতে এক ছিনতাইকারী মারা গেছে । মুন্সিগঞ্জ হতে ছিনতাইকারীরা ট্রলার নিয়ে গেলেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে শরিয়তপুর জেলার জাজিরায়। লাশ এবং ছনতাইকারীরা নৌ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।