শিরোনাম

South east bank ad

পাশে দাড়াঁলো রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবে হতদরিদ্র পরিবারের নাজমুল

 প্রকাশ: ২১ মে ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন:

হতদরিদ্র পবিারের সন্তান নাজমুল, এ বছর মেডিকেলে ভার্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মেধা তালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। ভর্তির সুযোগ পেয়েও পারিবারিক দৈন্যতায় অনিশ্চিত হয়ে পরে ভর্তি হওয়া। দরিদ্র পিতার পক্ষে এক সাথে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি অনেকের দারস্ত হলেও মেলেনি সুফল। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী খোরশিদুল আলম মজিবের পরামর্শে ওই অসহায় পিতা ছেলে মেডিকেলের ভর্তির জন্য অবশেষে আবদেন করেন স্থানীয় রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের কাছে।

বলছিলমা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ৮নং সাখুয়া ইউনিয়নের আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেনের কথা।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০২১-২২ সেশনে মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেধা তালিকায় ১২ তম স্থান অর্জন করে ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া গ্রামের দরিদ্র আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন। নাজমুল মেধা তালিকায় ভাল ফলাফল করলেও তার ভর্তি হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। তাঁর পিতা বাঁশের বেতি দিয়ে নানান উপকরন তৈরি করার হস্তশিল্প কারিগর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী পিতা। ভর্তি ফি’র টাকার অভাবে হতাশায় ভুগছিলো তার পরিবার। রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের কাছে বিষয়টি জানানো হলে ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী মোঃ মিনহাজ নাজমুল যেন মেডিকেলে ভর্তি হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংগঠনের সদস্যদেরকে বিষয়টি অবহিত করেন।

শুক্রবার দুপুরে রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে দরিদ্র নাজমুল হোসেন ও তার বাবার হাতে টাকা তুলে দেন রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মিনহাজ।

এসময় বাসাস ত্রিশাল ইউনিটের সভাপতি খোরশিদুল আলম মজিব, ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও ফাউন্ডেশনের সদস্য ডা. মনোয়ার সাদাত, ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নোমান, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি মতিউর রহমান সেলিম, ত্রিশাল রির্পোটার্স ইউনিটির সভাপতি এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন, রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের বিরাজ, রুকন, তপন চন্দ্র সাহা, গৌতম দে, বাধন চক্রবর্তী, হারুনুর রশিদ মিল্টন, বিপুল কর্মকার, মানিক আচার্য্য, মনোরঞ্জন সরকার, সুজন আচার্য্য, জামিল উদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

নাজমুল বলেন, আমার পরিবারের অবস্থা দেখে ভেবে ছিলাম ভর্তিও সুযোগ হওয়াটাই আমার ভাগ্য, বাকিটুকু হয়তোবা স্বপ্নই থেকে যাবে। রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন আমার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসছে। দোয়া করবেন যেন ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াঁতে পারি।

আবেগ আপ্লুত নাজমুলের পিতা আবুল হোসেন বলেন, বাবা এ বয়সেও বাঁশের বেতি দিয়ে কুলা, চালুন, বাইর, বেতির বেড়া ও ঘরের সিলিং তৈরীর কাজ করে কোন ভাবে পরিবার চালিয়ে যাচ্ছি, এটিই আমার উপার্জনের একমাত্র পথ। ভর্তির টাকা জোগার করবো কি ভাবে? টাকার অভাবে অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে নাজমুলের ভর্তি হওয়া। আপনারা সহযোগীতা করেছেন, আল্লাহ আপনাদের সহয়তা করবে।

রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মিনহাজ জানান, মানবতার সেবায় এ ফাউন্ডেশন সবসময় পাশে ছিল আছে এবং থাকবে। নিস্বার্থ ভাবে এ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা মানবিক কাজগুলোতে এগিয়ে আসে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: