শিরোনাম

South east bank ad

পটুয়াখালীতে অস্তিত্ব সংকটে কিন্ডারগার্টেন

 প্রকাশ: ২০ মে ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সুনান বিন মাহাবুব (পটুয়াখালী):

পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর থেকেই বেকার হয়ে পড়েছে ওই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। আয় না থাকায় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার প্রায় সব কিন্ডারগার্টেন নিজস্ব অর্থায়নে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এসকল প্রতিষ্ঠান। জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দের শতাধিক কিন্ডারগার্টেনে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ওইসব কিন্ডারগার্টেনে কর্মরত আছে প্রায় ১৮০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী। গত বছর জেলা সদরে কিন্ডারগার্টেন ছিল ২০টি, এর মধ্যে নিবন্ধিত ১২টি, মোট শিক্ষকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫০ জন, কর্মচারির সংখ্যা ৭০ জন এবং মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০০০ হাজার ছিল। করোনা মহামারির এই সময়ে পটুয়াখালী জেলায় ৮০ টির বেশি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা সদরে বন্ধ রয়েছে ৬ টি কিন্ডারগার্টেন। অতি দ্রুত স্কুল না খুললে বেশিরভাগ কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হবার উপক্রম।

পটুয়াখালী বাটারফ্লাই কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, পটুয়াখালী জেলার কিন্ডারগার্টেনে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এক বছরের বেশি হলো আমাদের স্কুল গুলো বন্ধ রয়েছে। জেলা সদরের এসকল কিন্ডারগার্টেন কখনো সরকারের দেয়া আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেনি। অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।

পটুয়াখালী কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের তথ্যমতে, জেলা সদরের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিউশন ফি থেকে ৪০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ৫০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, বাকি ১০ শতাংশ টাকা বিদ্যুৎ বিল ও পানির বিলসহ অন্যান্য খরচ নির্বাহে চলে যায়। এ অবস্থায় স্কুল বন্ধ থাকায় কোনো টিউশন ফি আদায় না হওয়ায় বাড়িভাড়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। পটুয়াখালী হলি চাইল্ড কিন্ডারগার্টেন পরিচালক তানজিল মাহমুদ এ ব্যাপারে বলেন, সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সকল শিক্ষকেরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারী তাঁদের বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয়েছে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত জেলার সকল কিন্ডারগার্টেন বন্ধ থাকবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: