শিরোনাম

South east bank ad

প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ মধ্যরাত থেকে ৬৫ দিনের জন্য সাগরে মাছ ধরা বন্ধ

 প্রকাশ: ১৯ মে ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আজ বুধবার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাগরে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এদিকে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়বেন ভোলার ৬৩ হাজার জেলে। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় অভাব-অনটন আর সংকটের মধ্য পড়বেন তারা।

পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবেন সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। একবার সাগরে গেলে তারা ফিরে আসেন ৫ থেকে ১৫ দিন পর। যে মাছ পান তা বিক্রি করে অন্তত ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা বা তার চেয়েও কিছু বেশি টাকা পান। কিন্তু মাছ ধরা বন্ধ তাই বেকার হয়ে পড়েছেন তারা।
এদিকে উপকূলীয় মৎস্য আড়তে দেখা গেছে, সমুদ্রগামী জেলেরা জাল, ট্রলার ও ফিশিংবোট নিয়ে সাগর থেকে নিজ নিজ ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন।

 
লালমোহনের বাতির খাল এলাকার জেলে ফারুক মাঝি বলেন, আমরা সাগরে মাছ ধরি, কিন্তু ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আমরা বেকার হয়ে পড়ছি। ধার দেনা করে দিন কাটাতে হবে।



জেলেদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে জেলে পুনর্বাসনের বরাদ্দ আরো বাড়িয়ে দিলে কিছুটা হলেও সংকট দূর হতো। জেলেরা বলছেন, তারা শুধু সাগরে মাছ ধরে থাকেন। এ মাছের উপরই তাদের জীবন-জীবিকা। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে তাদেন আয় বন্ধ হয়ে যায়, তাই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞাকালে বরাদ্দ যেন বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
সূত্র জানিয়েছে, জেলায় সমুদ্র মাছ শিকার করে জীবিকা বির্বাহ করে এমন জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৯৫৪ জন। এদের মধ্যে সদরে ৩ হাজার ৬৯৮ জন, বোরহানউদ্দিনে ৭ হাজার ৬৫০ জন, দৌলতখানে ১১ হাজার ৫৫০ জন, লালমোহনে ৮ হাজার ৮০৪ জন, তজুমদ্দিনে ৪ হাজার ৫০৬ জন, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৭ হাজার ৫৬১ জন ও মনপুরা উপজেলায় ১০ হাজার ১৮৫ জন।
মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের  জন্য প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে এমন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৬৩ হাজার ৯৫৪ জন। তাদের সবাই চাল পাবে। খুব শিগগিরই তা বিতরণ শুরু হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: