শিরোনাম

South east bank ad

ভুয়া রপ্তানি বিলে জনতা ব্যাংকের ৬৮ কোটি টাকা লুটপাট

 প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   দুদক

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ভুয়া রফতানি বিল দেখিয়ে ৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মেসার্স ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান-এমডিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপরিচালক) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

অনুমোদিত চার্জশিটে আসামিরা হলেন- ক্রিসেন্ট গ্রুপ ও মেসার্স ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম।

জনতা ব্যাংকের আসামিরা হলেন- কৃষি ব্যাংকের বর্তমান ডিএমডি ও জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম ফখরুল আলম, জিএম মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম এ কে এম আসাদুজ্জামান, মুহাম্মদ ইকবাল, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাগরেব আলী ও মো. খায়রুল আমিন।

অন্যদিকে ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মো. জাকির হোসেনের নাম অনুমোদিত চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে দায়িত্ব অবহেলার জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের শর্ত লঙ্ঘন করে রফতানি না করেও ভুয়া ডকুমেন্ট দেখিয়ে এফডিবিপি ও প্যাকিং ক্রেডিট বাবদ টাকা উত্তোলন করেন।

রপ্তানি ঋণ সুবিধা পেতে ভুয়া রফতানি বিলের বিপরীতে ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের অনুকূলে জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখা থেকে ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। পরবর্তীতে তা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে পাচার করেছেন।

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৭১ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদের গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ এক বছর পর তিনি জামিন পান বলে জানা গেছে। জনতা ব্যাংক থেকে ১৭৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোট ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

BBS cable ad

দুদক এর আরও খবর: