শিমুলিয়ায় এক অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে পার হলো তিন হাজার যাত্রী

কায়সার সামির (মুন্সিগঞ্জ):
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের শিমুলিয়াঘাট থেকে সোমবার সকাল ১০ টার দিকে আরো একটি ফেরিসহ দুটি ফেরি ছেড়ে গেছে। এসময় অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে পারাপার হয়েছেন দক্ষিনবঙ্গের প্রায় তিন হাজার ঘরমুখী মানুষ। এছাড়াও গতকাল রোববার রাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত প্রায় ১৩ টি ফেরিতে পন্যবোঝাই যানবাহন পারাপার করা হয়েছে।
এদিকে, ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় শিমুলিয়াঘাটে দক্ষিনবঙ্গের ঘরমুখো যাত্রী ঢল রয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী এখনও শিমুলিয়াঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ১০ টার দিকে ৫-৬ টি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে শিমুলিয়াঘাট ছেড়ে যায় ফেরি যমুনা। এ ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যাত্রী সাধারণও নৌরুট পারাপার হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্যই ফেরি যমুনা ছাড়া হয়েছিল। এসময় ফেরির সাথে তিন হাজার যাত্রী পার হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নাজমুল রায়হান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শিমুলিয়াঘাট এলাকায় বেলা ১২ টার দিকে পারাপারের অপেক্ষায রয়েছে ৫ শতাধিক পন্যবাহী ট্রাক।
তিনি বলেন, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোসহ যাত্রীবাহি কোনো যানবাহন ঘাট এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীবাহি যানবাহন শিমুলিয়া মোড়ের চেকপোষ্টে থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের চাপ বেড়েই চলেছে।
এদিকে, ফেরির অপেক্ষায় রোদে পুড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দক্ষিনবঙ্গগামী হাজারো যাত্রী।