চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার মূলহোতাকে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৮/১১/২০২০ তারিখ ১২.৫০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাধ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অস্ত্রধারী এবং আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের প্রধান গোলাম মোস্তফা শাহীন ওরফে মোশারফ (৫০) জেলা-বরগুনা’কে ০১টি বিদেশী পিস্তল, ০১টি ম্যাগজিন, ০১ রাউন্ড গুলি, ০৩ টি মোবাইল ফোন এবং ০১ টি ইয়ামাহা এফজেড-এস মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্র, দস্যূতা এবং হত্যাসহ নিয়মিত মামলা রয়েছে। সে ‘‘কোম্পানী’’ নামে একটি আন্তঃ জেলা ডাকাত দল গঠন করে এরই মূল হোতা হিসেবে ঢাকাসহ আশ-পাশের জেলায় ডাকাতি করে আসছিলো। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকেই গ্রেফতার এড়াতে দলের প্রত্যেক সদস্যকে সে প্রশিক্ষন দিত। টার্গেট বাছাই করা থেকে শুরু করে অস্ত্রের যোগান সবই দিতো সে নিজেই আর বাকীদের কাজ ছিলো তার নির্দেশ অনুযায়ী মানুষকে আক্রমণ করা। এজন্য সে নিজের মটর সাইকেল ও প্রাইভেটকার ডাকাতির সময় ব্যবহার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, দুমাস আগে জামিনে বের হয়ে পুনরায় ডাকাত দল গঠন করে ডাকাতি শুরু করে এবং সে গত ২৮ অক্টোবর, ২০২০ আমিনবাজার ভাকুর্তায় ইতালি প্রবাসীর ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী।
এই দলের সদস্য সংখ্যা ১০-১২ জন যাদের ৩ জনকে গত ০৭ নভেম্বর একটি বিশেষ অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাভারের বিরুলিয়া থেকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব।
উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ ডাকাতি, দস্যূতা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজ এবং অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

