বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান
খায়রুল ইসলাম : বাড়ির চারদিক অথৈ পানিতে প্লাবিত। বাড়ির কর্তা তার পরিবারের সদস্য এবং গবাদি পশু নিয়ে বাড়ির চালায় বসে ভাবছেন কিভাবে চলবে ভবিষ্যতের দিনগুলো। পানির তীব্রতা বেড়েই চলেছে। জীবনের হুমকি নিয়ে বন্যার পানিতে পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে গবাদি পশু গুলো নিয়ে চলেছেন নিরাপদ জায়গায়। একদিকে বাঁচার আকুতি, আরেকদিকে পেটে ক্ষুধা এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ; তাও এগিয়ে চলেছেন। এভাবেই এগিয়ে চলছেন অনিশ্চিতের পথে।
বলছিলাম বন্যা কবলিত এক পরিবারের কথা। কি কষ্টের জীবন। সারাদেশের নদনদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে মানুষ ।প্রতিদিনই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
যমুনা নদীর তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও টাংগাইলের মানুষ । মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছে স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসায়। সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
(সম্প্রতি আমিও বগুড়ার ত্রান দিতে গিয়ে দেখেছি মানুষের কি পরিমান কষ্ট ,নিজের চোখে না দেখলে আপনিও বিশ্বাস করতে পারবেন না মানুষের দুর্ভোগের আসল অবস্থা)
আমরা যারা অর্থনৈতিক ভাবে সচ্চল আছি তারা কি বন্যার্ত মানুষের পাশে এসে দাড়াতে পারি না? একটি পরিবারকেও যদি আপনি সাহায্য করতে পারেন, আপনি নিশ্চয়ই পরিতৃপ্তি পাবেন।
বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মানবসেবায় নিজের হাত বাড়িয়ে দেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর প্রতিদান আপনকে দিবেন। মানুষ তো মানুষের জন্যই।
(সিরাজগঞ্জ, টাংগাইল ও বগুড়াতে বন্যার্তদের সাহায্য করতে চাইলে যদি আমি কোন উপকারে আসতে পারি আমাকে ইনবক্সে জানাতে পারেন।)
(র্যাব-১২ এর কমান্ডিং অফিসার খায়রুল ইসলাম এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া) https://www.facebook.com/khairul.islam.7739


