বিএসটিআইর অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে ভেজাল পানীয় তৈরি!
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হলেও নেই ল্যাব বা কোনো কেমিস্ট। অথচ তৈরি করা হচ্ছে নানা ধরনের কোমল পানীয়। যেসব পণ্যের অনেকগুলোই তৈরির অনুমোদন নেই প্রতিষ্ঠানটির।
রোববার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মাতুয়াইলে শাওন কনজ্যুমার ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড নামক ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদলত।
ভেজাল ট্যাং, মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় তৈরি ও বাজারজাত করার অভিযোগ ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক কফিল উদ্দিনকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের তিন মাসের জেল দিয়েছেন আদালত।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, মাতুয়াইলের পূর্ব গোবিন্দপুরে শাওন কনজ্যুমার ফুড প্রডাক্ট নামে প্রতিষ্ঠানটি ভেজাল ট্যাং তৈরি ও মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় তৈরি করে বিক্রি করে আসছে। বিএসটিআইর অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হলেও তাদের কারবার সব ভেজাল। কমপক্ষে ১০০ এর বেশি লিকুইড খাদ্যপণ্য তৈরি করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি, যার অধিকাংশরই তৈরি ও বাজারজাতকরণে অনুমোদন নেই। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ল্যাব নেই, কেমিস্ট বা টেকনিশিয়ান নেই।
অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিপুল পরিমাণ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রং, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মেয়াদোত্তীর্ণ গ্লুকোজ, মেয়াদোত্তীর্ণ লেভেলবিহীন ফ্লেভার জব্দ করা হয়েছে। টয়লেটে খাদ্যদ্রব্য মজুদ অবস্থায় পাওয়া গেছে যা নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী অপরাধ।
এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে কফিল উদ্দিনকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের তিন মাসের জেল দেওয়া হযেছে।
একইসঙ্গে এক মাসের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সব বৈধতা অর্জনসহ ল্যাব স্থাপন ও কেমিস্ট নিয়োগ করতে হবে বলে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালাসহ নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
