পুত্রের পরিকল্পনায় ও উপস্থিতিতে বন্ধুদের সহযোগিতায় পিতা খুনের রহস্য উন্মোচন

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
জনৈক আব্দুল আজিজ (৫৫), পিতা-মৃত তালেব হোসেন নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানাধীন মানিকদির সাকিনের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি ০৩ (তিন) কন্যা ও ০১ (এক) পূত্র সন্তানের জনক। তার এক কন্যা বিবাহিত। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পূর্বধলা থানাধীন শ্যামগঞ্জ বাজারে তার “আব্দুল আজিজ ট্রেডার্স” নামীয় একটি পোল্ট্রি ফিডের দোকান রয়েছে। প্রতিদিন ছেলে বিপ্লবকে নিয়ে আব্দুল অজিজ উল্লিখিত দোকানে যান এবং রাত আনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় ছেলেসহ বাড়িতে ফিরেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ০১-০৯-২০২২ খ্রিঃ সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় আব্দুল আজিজ ছেলে বিপ্লবকে নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে দোকানে যায় এবং সারাদিন মালামাল বিক্রি শেষে রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় ছেলেসহ বাড়ী ফিরেন। বাড়িতে এসে আব্দুল আজিজ বাথরুমে যান এবং বাথরুম থেকে বের হয়ে ছেলে বিপ্লবের খোঁজ নেন। বিপ্লব ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার তথ্যে ছেলের খোঁজে বের হন এবং ছেলের মোবাইলে ফোন দেন। মোবাইল ফোন মারফত আব্দুল আজিজ জানতে পারেন শ্যামগঞ্জ বাজারের সন্নিকটে কুতুবপুর সাকিনস্থ শ্মশানঘাট নামক স্থানে বিপ্লবের অবস্থান। এ কথা শোনে আব্দুল আজিজ সেখানে গমন করেন। কিছুক্ষণ পর আব্দুল আজিজের ছেলে বিপ্লব তার ভগ্নিপতি (বড় বোনের জামাতা) সোহেল মিয়াকে ফোন করে জানান কে বা কারা তার বাবাকে কুপিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এ সংবাদের প্রেক্ষিতে বিপ্লবসহ তাদের নিকটাত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল আজিজের মাথায় ও কানের পাশে কুপানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর ০৫.০০ ঘটিকার সময় আব্দুল অজিজকে মৃত ঘোষণা করেন। উল্লিখিত ঘটনায় মৃত আব্দুল আজিজের দাফন শেষে তার স্ত্রী বকুল বেগম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিবাদী করে একটি অভিযোগ দাখিল করলে পূর্বধলা থানা মামলা নং-০৮, তারিখঃ ০৩-০৯-২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
মোঃ ফয়েজ আহমেদ, পুলিশ সুপার, নেত্রকোণা উল্লিখিত মামলায় গতানুগতিক ও প্রযুক্তির সাহায্যে অতিসত্বর খুনের রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক অপরাধীদের আইনের আওতায় আনয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাগণকে নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপার, নেত্রকোণা মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ