সিআইডির "ডিএনএ ল্যাবরেটরি" এখন "ডিএনএ ব্যাংক"
বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর ডিএনএ ল্যাবরেটরি নাম পরিবর্তন করে ‘ডিএনএ ব্যাংক’ নামে কার্যক্রম শুরু করেছে।
২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ল্যাবরেটরি ধর্ষণ, অজ্ঞাত মৃতদেহ শনাক্তকরণ, পিতৃত্ব বিরোধ ও নিষ্পত্তি, ডাকাতি, হত্যাসহ প্রায় ৬ হাজার মামলার বিপরীতে ১৬ হাজারের বেশি আলামত থেকে ২০ হাজার ডিএনএ প্রোফাইলিং-এর পর সার্ভারে সংরক্ষণ করে।
আদালতের আদেশক্রমে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে প্রোফাইলিং শুরু হয়। ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি অব বাংলাদেশ পুলিশে প্রথম আলামত গ্রহণ করা হয় ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি।
ডিএনএ ব্যাংক বলতে বোঝায় দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত প্রতিটি ব্যক্তির ডিএনএ প্রোফাইল করা। ব্যাংকে সংরক্ষিত প্রোফাইল পরবর্তীতে ওই একই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষিত অপরাধীদের ডিএনএ প্রোফাইল তদন্ত কার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা সংক্রান্ত সকল আলামতের বিশ্লেষণ ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ডিএনএ ল্যাব সিআইডি’র সহায়তায় পুলিশ অসংখ্য মামলা সমাধান করতে সফল হয়েছে। বর্তমানে এ ল্যাব দেশের বিভিন্ন আদালত ও থানা আসা মামলা গ্রহণ করে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেয়।
জাপান সরকারের জেডিসিএফের অর্থায়নে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি অব বাংলাদেশ পুলিশ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম ২০১১ সালের আগস্টে শুরু হয়ে ২০১৫ সালের জুনে শেষ হয়।