বায়ুমান উন্নয়নে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার বায়ুমান উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষণকারী হ্রাসের মাধ্যমে বায়ুর গুণমান উন্নত করতে এবং স্বল্পমেয়াদি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার চেষ্টাও করা হচ্ছে। স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষণকারী হ্রাসের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ১১টি অগ্রাধিকারমূলক প্রশমন ব্যবস্থা চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি লক্ষ্যমাত্রা প্রধান মিথেন নির্গমন উৎস।
আজ শুক্রবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্যারিসে অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট অ্যান্ড ক্লিন এয়ার কোয়ালিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ১০ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ উচ্চাভিলাষী প্রশমন লক্ষ্যমাত্রাসহ নিঃশর্ত এবং শর্তসাপেক্ষ উভয় লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে হালনাগাদ জলবায়ু প্রশমণ পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষণকারী এর সম্ভাব্যতা উপলব্ধি করে আমাদের আপডেট করা জলবায়ু প্রশমন পরিকল্পনার লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে গৃহস্থালীর শক্তি নির্গমন ১৮.৫৫ শতাংশ, ইট ভাটা খাতের নির্গমন ৪৬.৫৪ শতাংশ এবং কঠিন পৌর বর্জ্য এবং বর্জ্য জল নির্গমন ৭.৯৩ শতাংশ হ্রাস করা।
বনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষণকারী কমানোর জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে ২০৪০ সাল নাগাদ ১৬ হাজার ৩০০ অকাল মৃত্যু রোধ করবে, কালো কার্বন নিঃসরণ ৭২ শতাংশ এবং মিথেন নিঃসরণ ৩৭ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে। জাতীয় এ পরিকল্পনা পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা একটি পূর্বশর্ত। স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষণকারী হ্রাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমরা স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষণকারী হ্রাসের উপর ব্যাপক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্ব উষ্ণায়নের সম্ভাবনা .৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমাতে পারি।