৭২০ জনকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে পিএসসি
গত বছরের ৩০ জুন ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে বিভিন্ন ক্যাডারের ২ হাজার ২০৪জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ২০১৭ সালের ২০ জুন ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় চার লাখ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ১৬ হাজার ২৮৬ জন উত্তীর্ণ হন। গত বছরের ৮ আগস্ট এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। এতে ৯ হাজার ৮৬২জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। এই প্রার্থীদের বিসিএসের মেধাক্রম এবং সংশ্লিষ্ট পদের নিয়োগবিধির ভিত্তিতে বুধবার কমিশনের বিশেষ সভায় নিয়োগের এ সুপারিশ করা হয়। পিএসসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পাননি তাদের মধ্য থেকে ৭২০ জনকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। হতাশার মধ্যে কপাল খুললো ৭২০ জন চাকরি প্রার্থীর। ‘সোনার হরিণ’ নামক সরকারি চাকরির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা।
বুধবার (২ জুন) পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০১০ এবং সংশোধিত বিধিমালা-২০১৪ এর বিধান অনুযায়ী ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে সংশ্লিষ্ট নিয়োগবিধিতে বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের বিসিএসে অর্জিত মেধাক্রম ও সংশ্লিষ্ট পদের নিয়োগবিধির ভিত্তিতে ৭৮০ জন প্রার্থীকে নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণির পদে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে কমিশন সুপারিশ করেছে।
৩৮তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ১৭৩ জন। এর মধ্যে নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৩২ জন। এর আগে দুই দফায় নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণির পদে নিয়োগের জন্য ৯৮৩ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল। পিএসসি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের তিনটি ক্যাটাগরিতে ৬৬১ জনসহ মোট ৩৯ ক্যাটাগরির ৭৮০টি পদের জন্য সুপারিশ করে ফলাফল প্রকাশ করেছে।