ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা যুদ্ধে রূপ নিতে যাচ্ছে বলে অনেকের ধারণা। তবে এমন উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে ক্রেমলিন। মঙ্গলবার মস্কো বলেছে, ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েনরত কিছু সৈন্যকে সামরিক ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসান এবং যুদ্ধ এড়াতে ক্রেমলিন-কিয়েভের ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিতের মাঝে সৈন্য ফেরানোর কাজ শুরু করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার সরকারি একাধিক বার্তাসংস্থা বলছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন ‘দায়িত্বপালন শেষে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভিন্ন সামরিক জেলার অধীনস্ত ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে রেল ও সড়ক পরিবহনগুলোতে আসন গ্রহণ করতে শুরু করছে এবং আজই তারা সামরিক ঘাঁটিতে ফিরে যাবে।’
তবে এই সেনাদের সংখ্যা কত তা মন্ত্রণালয় জানায়নি। আর এতে উত্তেজনা প্রশমন হবে কিনা তাও এখনো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। কারণ রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হামলা করতে পারে বলে আগেই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে ওয়াশিংটনের পশ্চিমা মিত্ররাও।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া একলাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাবে। তবে ইউক্রেইনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
গতকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকোভ বলেছেন, সামরিক মহড়াসহ পরিকল্পনামাফিক বেশ কয়েকটি যুদ্ধের প্রশিক্ষণ মহড়াও চালানো হয়েছে। কিছু মহড়া এখনো চলছে, যেমন: রাশিয়া- বেলারুশ সামরিক মহড়া। এ মহড়া ২০ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের দেওয়া ভিডিও ফুটেজে ইউক্রেইন সীমান্তের কাছ থেকে কিছু ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যান সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা কিছু লোহালক্কড় ট্রাকে করে সরিয়ে নেবে আর সেনারা পদযাত্রা করে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে যাবে। তবে রাশিয়ার এই কিছু সেনা সরে যাওয়াই ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে পশ্চিমাদের শঙ্কা কাটাতে যথেষ্ট হবে কিনা তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই- একথা বিশ্বাস করতে হলে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে পুরোমাত্রায়ই রুশ সেনাদের সরে যেতে দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, কতসংখ্যক সেনা প্রত্যাহার করা হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছেন তারা।