ডয়েচে ব্যাংক ইন্ডিয়ার নিট মুনাফা বেড়েছে ৪৮ শতাংশ
২০২১ অর্থবছরে জার্মান ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ডয়েচে ব্যাংক এজির ভারতীয় শাখার নিট মুনাফার পরিমাণ ৪৮ শতাংশ বেড়েছে।ফলে চলতি অর্থবছরে ব্যাংকটির ভারতীয় শাখার মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৫২৭ কোটি রুপি। রাজস্ব আয় বাড়ায় ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ফলে মুনাফার পরিমাণে এ প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এক বছর আগে তাদের মুনাফার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩১ কোটি রুপি। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
এক বিবৃতিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি ২০২১ অর্থবছরে ব্যাংকটির ভারতীয় শাখার নিট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৩৭ কোটি রুপি। এটি ২০২০ অর্থবছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি, ২০২০ অর্থবছরে ব্যাংকটির এ শাখার নিট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫১০ কোটি রুপি। ভারতজুড়ে পরিচালিত ব্যবসায়িক পরিস্থিতির দ্বারা এ রাজস্ব আয় প্রভাবিত হয়েছে বলেও জানায় ডয়েচে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
ডয়েচে ব্যাংকের ভারতীয় শাখার সিইও কৌশিক শাপারিয়া জানান, ২০২১ অর্থবছর ব্যাংকটির জন্য যেকোনো পরিস্থিতির তুলনায় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি বছর। তবে গ্রাহকদের সংস্পর্শে থাকার পাশাপাশি ব্যাংকের তারল্য ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দ্বারা গ্রাহকদের সাহায্য করার মাধ্যমেইে এ ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
কৌশিক শাপারিয়া আরও জানান, করোনা ভাইরাসের প্রভাব সত্ত্বেও ডয়েচে ব্যাংক ইন্ডিয়ার সম্পদের মান আরও বাড়াতে শুরু করেছে। এ সময় ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় .৮৬ শতাংশ। গত বছর ব্যাংকটির ভারতীয় শাখার খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১.৩১ শতাংশ।
২০২১ অর্থবছরে ডয়েচে ব্যাংক তাদের ভারতীয় শাখাগুলোয় ৩ হাজার ৩২৬ কোটি রুপি মূলধন বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। ভারতজুড়ে ব্যাংকটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সহায়তা করার জন্য মূলধন বিনিয়োগে এমন বাড়তি অর্থ ব্যয় করে তারা। বাড়তি এ মূলধন বিনিয়োগের ফলে ভারতে ব্যাংকটির মোট মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯ হাজার ৩৪৫ কোটি রুপি। মূলধন বিনিয়োগের এমন উচ্চহার আগামী ২০২২ অর্থবছরের জন্য ব্যাংকটির অবস্থান আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে জানান ডয়েচে ব্যাংকের সিইও কৌশিক শাপারিয়া।
ব্যাংকের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চে ব্যাংকটির মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত ছিল ১৭.২৮ শতাংশ। গত ২০২০ অর্থবছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত ছিল ১৪.৯৩ শতাংশ।
ডয়েচে ব্যাংক ইন্ডিয়া জানায়, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৩০ কোটি রুপি। ২০২০ অর্থবছরে তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ২৪৪ কোটি রুপি। তারা আরও জানায়, ২০২১ অর্থবছরে তাদের অগ্রিম সম্পদের পরিমাণ ৩ শতাংশ বেড়ে ৫২ হাজার ৪৩৮ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে।