শিরোনাম

South east bank ad

প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত এলো

 প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   শিক্ষাঙ্গন

প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত এলো

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে না জেলাভিত্তিক হবে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে একেক সময় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকায় বিভ্রান্তিতে চাকরিপ্রত্যাশীরা।

এমন অবস্থায় আজ সোমবার (২৯ মার্চ) তারা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় বসে। তবে বৈঠকে কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি।

গতকাল সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সূত্র জানায়, আগামী এপ্রিলে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি প্রাথমিকে এই নিয়োগ পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ ঘোষণা করেনি মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পরীক্ষার তারিখ ও কিভাবে নিয়োগ কার্যক্রম হবে তা নিয়ে সোমবার আলোচনা হয়েছে। তবে কোন পক্ষই এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি।

এবার অনিয়ম ও দুর্নীতি রুখতে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে তারা।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা জেলা পর্যায়ে হওয়ার সম্ভাবনার রয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু ঢাকায় নয়, জেলা পর্যায়েও হতে পারে। এ বিষয়ে আজ সোমবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।

এর আগে রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা জেলা পর্যায়ে আয়োজনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগামীকাল একটি মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। মিটিংয়ে এ ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

তবে মন্ত্রণালয়ের একাধিক উপসচিব ও যুগ্মসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেন, বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি ছিলেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছুই জানানো হয়নি। কারণ হিসেবে তারা বলেন, কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তা আমরা অবশ্যই জানতাম।

এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সই করা পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচন সংক্রান্ত চিঠিতে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর কথা বলা হয়েছিল।

চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮, ১৫ ও ২২ এপ্রিল এবং ১৩ মে বিকেল ৩টায় গ্রহণের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

‘উল্লেখিত তারিখে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করা হলো।’

এর আগে গত ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় এপ্রিলে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

BBS cable ad

শিক্ষাঙ্গন এর আরও খবর: