রোহিঙ্গাদের ৬০কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বৈশ্বিক দাতাদের
রোহিঙ্গা ইস্যুতে নতুন করে প্রায় ৬০ কোটি ডলারের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দাতা সংস্থাগুলো। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে আয়োজিত ভার্চুয়াল সম্মেলনে এ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় রোহিঙ্গাদের জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার। রোহিঙ্গাদের জন্য চলতি বছর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছিল জাতিসংঘ। তার অর্ধেক অর্থও না আসার প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওই সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং যুক্তরাজ্য ৬ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি দেশ অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ২০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, আজকে সর্বমোট ৫৯৭ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে কোনো মানবিক সংকটে তাদের জোরাল অবস্থানের জানান দিয়েছে।
এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মিয়ানমারকে একটি মুক্ত কারাগার আখ্যা দিয়ে বলে, রাখাইনের নাগরিকরা এখনো স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারে না, মিয়ানমার সরকার তাদের জীবন-যাপন কে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বাতাস নোংরা ও দূষিত: ট্রাম্প
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপক চেষ্টা সত্ত্বেও ৩ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণে রোহিঙ্গারাও হতাশ। তারা তাদের জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। আলজাজিরা।