পদ্মাসেতুর জন্য আরএডিপি’তে ৫০০৯ কোটি টাকার প্রস্তাব

চলমান পদ্মাসেতু প্রকল্পের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) ৫ হাজার ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা প্রস্তাব করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। যা এডিপি’তে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এতে করে ২ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা বেধে দেওয়া সময়ে খরচ করা গেল না। অতিরিক্ত অর্থ পদ্মাসেতু প্রকল্প থেকে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য আরএডিপি প্রণয়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আরএডিপি’তে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বরাদ্দ ও চাহিদার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো তাদের অর্থ বরাদ্দ ও চাহিদার কথা উল্লেখ করেছে। এতে করে সেতু মন্ত্রণালয় আরএডিপিতে পদ্মাসেতুর জন্য ৫ হাজার ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা প্রস্তাব করেছে।
তবে চলমান স্বপ্নের পদ্মাসেতু প্রকল্পে নানা অবকাঠামো বৃদ্ধি, নকশা পরিবর্তন, ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি, পরামর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে ব্যয় আরও ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আরএডিপি’তে পদ্মাসেতুর ব্যয় কমছে। আমরা এডিপি’তে যা বরাদ্দ চেয়েছিলাম তা খরচ করতে পারিনি। সেতুর পাইলিং কাজ দেরিতে শুরু হয়েছে। অন্যদিকে নদী ভাঙনসহ নানা কারণে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ কিছুটা হলেও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে এডিপি’র পুরো অর্থ খরচ করা যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ৬ মাসে যা খরচ করেছি তাতে হিসাব করে দেখছি পরবর্তী সময়ে বাকি অর্থ খরচ করতে পারবো না। তাই বাকি অর্থ ফেরত দেবো’।