সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হকের ইন্তেকাল

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা জিয়াউল হক জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়সহয়েছিল ৬৩।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে জিয়াউল হক কোলন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। এছাড়াতার কিডনি ও হার্টের সমস্যা ছিল।
জিয়াউল হকের ছেলে মুশফিকুল হক জয় তার সঙ্গে ব্যাংককে আছেন।
আজ তার লাশ দেশে নিয়ে আসা হবে বলেও জানান শায়রুল কবির।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জিয়াউল হকের স্ত্রী নাসিমা হক জানান, দুই বছর আগে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়াউল হকের শরীরে কোলনক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি বেশির ভাগ সময় বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিজ বাড়িতে বসে কোরবানি দেয়ারবিশেষ আগ্রহে তাকে (জিয়াউল হক জিয়া) গত কোরবানির ঈদের আগে দেশে আনা হয়েছিল। দেশে আসার পর হঠাৎ করেই তার শারীরিকপরিস্থিতির অবনতি ঘটে। তাই ঈদের আগেই তাকে ব্যাংকক বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
এদিকে তার মৃত্যুর খবরে রামগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৫৩ সালের ১১ মার্চ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউল হক। ১৯৮৬ সালে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন।
লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে তিনবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন জিয়াউল হক। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ওসমবায় (এলজিআরডি) প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।