শিরোনাম

South east bank ad

মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী

 প্রকাশ: ২০ অগাস্ট ২০১৭, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মৃত্যুবার্ষিকী

মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী
নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি, সলঙ্গা বিদ্রোহের মহানায়ক ও মহান ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে অন্যতম নেতা মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০ আগস্ট (শনিবার)। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভোরে মরহুমের মাজারে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া খায়ের। মাওলানা তর্কবাগীশ গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ জানান, জাতীয় নেতা মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ ১৯০০ সালের ২৭ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের উল্ল‍াপাড়া উপজেলার তারুটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্ব পুরুষ ছিলেন বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানি (রহ.)। ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি তার নেতৃত্বে বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলনে সলঙ্গা হাটে ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ শহীদ হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট পাকিস্তানের গণ পরিষদে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে তিনিই প্রথম বাংলা ভাষায় বক্তব্য রাখেন। ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থান এবং ৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিল অসামান্য। ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৬৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সভাপতি হিসেবে তার আমলের শেষ সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর তারই প্রচেষ্টায় মাদ্রাসা শিক্ষা ফের চালু হয়। ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি বেতার ও টেলিভিশনে কোরান তেলাওয়াতের নিয়ম চালু করেন। কৃষক আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলনসহ দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে সব মুক্তির আন্দোলনে সরাসরি সামনে থেকে জাতীর অধিকার আদায়ে সর্বদা সচেষ্ট থেকেছেন আজীবন। ১৯৮৬ সালের ২০ আগস্ট ৮৫ বছর বয়সে ঢাকা পিজি হাসপাতালে মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ মৃত্যুবরণ করেন।
BBS cable ad

মৃত্যুবার্ষিকী এর আরও খবর: