শিরোনাম

South east bank ad

বিজিবি কর্তৃক ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ লক্ষাধিক অভিযানে ৩৭২ কোটি টাকা মূল্যের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ

 প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বিজিবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ফেব্রুয়ারি-২০২০ মাস হতে সেপ্টেম্বর ২০২০ মাস পর্যন্ত দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে ৫ লক্ষাধিক অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ৩৭২ কোটি ০৯ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৬৭,৫৮,০৬১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩,০১,৮৩০ বোতল ফেনসিডিল, ৫০,৭৯০ বোতল বিদেশী মদ, ৫,৯৫৮ ক্যান বিয়ার, ৮,৮৯৭.৯২৬ কেজি গাঁজা, ১৪.০৩২ কেজি হেরোইন, ৩০,৫৯৭টি উত্তেজক ইনজেকশন, ৪৬,২১৯টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১৭,৬৩,৮৪৫টি অন্যান্য ট্যাবলেট। জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৩৭.১৪১ কেজি স্বর্ণ, ২০২.৩৭১ কেজি রূপা, ৫,৮১১টি ইমিটেশনের গহনা, ৬,০৪,০২৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১২,৬০০টি শাড়ি, ৮,০৭৭টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ৩,৪৭৫টি তৈরী পোশাক, ৬২২ মিটার থান কাপড়, ৮,৮৪,৯৫১.৩০ ঘনফুট কাঠ, ৩৮,১২,০৮২ কেজি চা পাতা, ১,১৭,১৭৫ কেজি কয়লা, ৩২টি ট্রাক, ১৮টি প্রাইভেটকার, ২৭টি পিকআপ, ১৫১টি সিএনজি/ইঞ্জিন চালিত অটোরিকশা এবং ৫৬১টি মোটর সাইকেল। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২২টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৪৫টি সকল প্রকার গান, ২৭টি ম্যাগাজিন, ১,০৯৭ রাউন্ড গুলি, ৮০০ গ্রাম গান পাউডার এবং ৪টি আইইডি। এছাড়াও সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০৬৩ জন চোরাকারবারীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩৪৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ৯৬ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে সীমান্ত অপরাধ সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ দমন করা সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলমান করোনা ভাইরাস মহামারীতে জর্জরিত সারাদেশে যখন সকল ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ার উপক্রম তখন বিজিবি সদস্যররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্যে অটুট থেকে দেশের ৪,৪২৭ কিলোমিটার সীমান্ত রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব অব্যাহত রেখেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নিদের্শনায় ও বিজিবি মহাপরিচালক মহোদয়ের সার্বিক তত্বাবধানে প্রথম থেকেই বিজিবি’র সকল ইউনিট/প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানী/বিওপি পর্যায়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে বিজিবি সদস্যদেরে মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সদস্য সংখ্যা ন্যূনতম পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। যার ফলে বিজিবি সদস্যরা বিভিন্ন অভিযান/টহল পরিচালনা করে সীমান্ত সুরক্ষা ও আন্ত:সীমান্ত অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে।

সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা জোরদারকরণের লক্ষ্যে বিজিবিতে ‘স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভেইল্যান্স এন্ড ট্যাকটিকাল বর্ডার রেসপন্স সিস্টেম’ স্থাপন ও All Terrain Vehicle (ATV) সংযোজন, হেলিকপ্টার সংযোজন, ভাসমান বিওপি স্থাপন ও দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারসেপটোর সিলভার ক্র্যাফট জলযান সংযোজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিদ্যমান পিলারের গায়ে “PAK/PAKISTAN” লেখা পরিবর্তন করে “BD/BANGLADESH” লেখার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পার্বত্য সীমান্ত এলাকায় ৮১৫ কি: মি: সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে ৩১৭ কি: মি: সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়াও ৭৩টি আধুনিক কম্পোজিট বিওপি নির্মাণের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজিবি ‘আলোকিত সীমান্ত’ প্রকল্পের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী কর্মহীন ও অসহায় মানুষের মাঝে ভ্যান গাড়ী, সেলাই মেশিন, গবাদী পশু, টি-স্টল বিতরণ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে এবং বিজিবি’র ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থার সহায়তায় এ পর্যন্ত সীমান্তবর্তী ২৮টি জেলার প্রায় ১,২০,০০০টি গরীব, দুস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতিকে উপেক্ষা করে বিজিবি দুর্যোগ কবলিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এ সকল সাফল্যজনক কর্মকান্ডের ধারা অব্যাহত থাকবে।

BBS cable ad

বিজিবি এর আরও খবর: