শিরোনাম

South east bank ad

বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ হারানো শিশু সিন্নাতুন নূরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

 প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, (ময়মনসিংহ)

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাজির সিমলা এলাকায় বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ হারানো শিশু সিন্নাতুন নূরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

সিন্নাতুনের চাচা ফরিদ মিয়া জানান,গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি) বুধবার রাতে সুতিয়াখালী গ্রামে সিন্নাতুন নূরের দাফন সম্পন্ন করেছেন তারা।

বুধবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাজির সিমলা নামকস্থানে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ হারায় ওই শিশু। এ সময় আহত হন অন্তত ৪০ যাত্রী।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সুতিয়াখালী গ্রামের রুবেল মিয়া চাকরি করেন নরসিংদী জেলার ঘোড়াশালে। স্ত্রী ওমি আক্তার ও শিশুকন্যা সিন্নাতুন নূরকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন রুবেল। বুধবার সকালে ঢাকা হয়ে তার কর্মস্থল ঘোড়াশালে ফিরতে, চুরখাই স্টেশন থেকে ঢাকা টু শেরপুরের মক্কা-মদিনা পরিবহনের একটি বাসে উঠেছিলেন তারা।

বাসের বাম পাশের সিটে মেয়েকে নিয়ে বসেছিলেন মা ওমি আক্তার। বাসে বসে মেয়েকে ফিডারে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন তিনি। কিছু বুঝে উঠার আগেই ওমি আক্তারের একটি পা বিছিন্ন হয় আর কোল থেকে ছিটকে পড়ে তার শিশুকন্যাটি। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার পরপরই মহাসড়কের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায় দুধের ফিডারটি।

রুবেলের পরিবারসহ স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক সিন্নাতুন নূরকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সিন্নাতুনের বাবা রুবেল মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখে তার স্ত্রী ওমি আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সিন্নাতুনের চাচা ফরিদ মিয়া জানান, রুবেলকে আশঙ্কামুক্ত হলেও তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী ওমি আক্তারের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি আশঙ্কামুক্ত নন। তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: