শিরোনাম

South east bank ad

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

 প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

নুর উদ্দিন সুমন, (হবিগঞ্জ):

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গভীর জঙ্গল থেকে গলায় ফাঁস লাগানো গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ফেব্রয়ারী বিকেলে খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আলী আশরাফের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) চম্পক দাম সহ একদল পুলিশ সাতছড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো এ লাশ উদ্ধার করেন। নিহত গৃহবধূর নাম আছমা আক্তার(২২)।

আছমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসীরনগর উপজেলার গোকর্ণ এলাকার আলী মিয়ার মেয়ে। জানা যায়, গত ৩ বছর পুর্বে শরীয়তের বিধান মতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা কাবিন মুলে বিয়ে হয় একই উপজেলার কুন্ডা এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আলমগীরের সাথে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ২ বছের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পারিবারিক সুত্র জানায়, আলমগীর (২৬) পেশায় একজন ইটভাটা শ্রমিক।

যৌতুকের জন্য স্ত্রী আছমাকে প্রায় সময় নির্যাতন করতো আলমগীর। এমনকী পিতার দেয়া আছমাকে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণও বিক্রি করে দেয় স্বামী আলমগীরের পিতা । এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী আছমা স্বামীর উপর অভিমান করে পিত্রালয়ে চলে যায় ।

এরই ক্ষোভে স্বামী আলমগীর মিয়া তার পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী (১৬ ফেব্রয়ারী) স্বর্ণ কিনে দেয়ার প্রলোভণ দিয়ে মাধবপুরের কথা বলে পিত্রালয় থেকে নিয়ে আসে স্ত্রী আছমাকে । পরে সিএনজি ভাড়া করে সাতছড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আছমাকে সাতছড়ির গহীনে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় পাষন্ড স্বামী আলমগীর। আছমার পরিবার তার মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ দেখে স্বামীকে ফোন করেন।

তখন আলমগীর আছমার সাথে দেখা হয়নি বলে টালবাহানা করে। একপর্যায়ে আছমার পিতা আলী মিয়া নাসিরনগর থানায় যোগাযোগ করলে থানা পুলিশ স্বামী আলমগীর মিয়াকে গতকাল বুধবার রাতেই আটক করেন। আটক আলমগীরের তথ্য অনুযায়ী চুনারুঘাট থানা পুলিশ আছমার মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে, মৃত আছমার পিতা আলী বলেন আমার মেয়ে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা।

বিয়ের সময় দেড় বড়ি ওজনের একটি চেইন দিয়ে ছিলাম উক্ত চেইন আলমগীরের পিতা সু কৌশলে বিক্রি করে দেন পরবর্তীতে আমার মেয়ের কাছে যৌতুক দাবী করে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে আলমগীর। যৌতুক না দেয়ায় আমার মেয়ে আছমাকে পিটিয়ে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি) আলমগীর স্বর্ণ কিনে দেয়ার কথা বলে নিয়ে আমার মেয়েকে খুন করে। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: আলী আশরাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতর পিতা মো: আলী মিয়া ।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: