ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি নয়
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
দেশে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছিল। কিন্তু কয়েকদিনে মৃত্যু ও শনাক্ত নিম্নগামী হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদ মিনারে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতি সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে শহিদদের প্রতি পাঁচজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। ব্যক্তি পর্যায়ে ফুল দিতে পারবে এক সঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন।
গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি) বুধবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে, শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদযাপনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে দিবসের কর্মসূচি বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে করোনা পরিস্থিতির কারণে মাস্ক ছাড়া কাউকে শহিদ মিনার এলাকায় প্রবেশে নিশেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শহিদ মিনারের সকল প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিকুইড সাবান রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে মাতৃভাষা পালনের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
একুশে ফেব্রুয়ারির দিনের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অবদানের বিষয়টি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থাপন করা হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সব উপাসনালয়ে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় কর্মসূচি প্রণয়ন ও চূড়ান্ত করবে।