শিরোনাম

South east bank ad

প্রেমের তথ্য ফাঁস করায় শিশু লিজা খুন

 প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

নুর উদ্দিন সুমন, (হবিগঞ্জ):

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে প্রেমের তথ্য ফাঁস করে দেওয়ায় শিশু তাকমিনা আক্তার লিজা (৯) খুন হয়েছেন। নিহত শিশু উপজেলার আইলাবই গ্রামের মোঃ সাগর আলী।

আজ বৃহস্পতিক(১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পিবিআই হবিগঞ্জ ইউনিট কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোঃ আল মামুন শিকদার।

তিনি জানান, এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলার মাধবপুর উপজেলার গন্ধব্যপুর গ্রামের সফি মিয়ার ছেলে বাহার উদ্দিন (২১), সাইদুর রহমান প্রকাশ মোহন মিয়ার কন্যা খাদিজা আক্তার তাজরিন (২৭), সাইদুর রহমান মোহনের স্ত্রী আমেনা খাতুন আনজু (৫০)। গতকাল বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গ্রিফতারকৃতদেরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

প্রেসবিফিং গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পিবিআই হবিগঞ্জ ইউনিটের পুলিশ সুপার মোঃ আল মামুন শিকদার জানান গ্রেফতারকৃত আসামী খাদিজা আক্তার তাজরীনের ছোট ভাই তাকবীর হাসানের (২০) সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর জনৈক সিরাজ মিয়ার মেয়ে শান্তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক চলাকালীন সময় একদিন সন্ধ্যায় তাদের বাড়ীর পাশে শান্তা ও তাকবীর দেখা করার সময় নিহত শিশু লিজা তাদের দেখে ফেলে।

পরবর্তীতে লিজা তাদের প্রেমের সম্পর্কের তথ্য শান্তার মায়ের কাছে ফাঁস করে দেয়। বিষয়টি জানার পর তিনি (মা) শান্তাকে গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তিনি শান্তার মুঠোফোনটি কেড়ে নেন। এ কারণে শান্তার সাথে তাকবীরের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। একে অপরের সাথে কথা বলতে না পারায় তারা ব্যাকুল হয়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে তাকবীর শিশু লিজার উপর ক্ষুব্ধ হয়। সে লিজাকে শায়েস্তা করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২১ জুলাই সকাল প্রায় ৭টায় আইলাবই গ্রাম থেকে লিজা পাশের গ্রাম গন্ধব্যপুরের দোকান থেকে নুডুলস ও জর্দ্দার কৌটা কিনে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় তাকবীর নির্জন জায়গায় শিশু লিজাকে মামা ওয়েফার নামক চকলেটের লোভ দেখিয়ে ভুলিয়ে তাদের বাড়ির মাটির ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে লিজাকে সে গলা টিপে হত্যা করে। হত্যার পর লিজার মরদেহ সে তার পরিবারের সহায়তায় বস্তাবন্দি করে বসতঘর সংলগ্ন গোয়ালঘরে লুকিয়ে রাখে। হত্যার ৪ দিন পর ২০২১ সালের ২৪ জুলাই মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল।

পরে তাকবীর তার পরিবারের লোকজন ও আসামী বাহার উদ্দিনের সহায়তায় রাতের আঁধারে লিজার মরদেহটি আইলাবই গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে ফেলে দেয়।

পরে লোকজন মরদেহ দেখে মাধবপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে লিজার পিতা সাগর আলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে এ মামলাটি পিবিআই হবিগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়।

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের সঠিক দিকনির্দেশনায় পিবিআই হবিগঞ্জ ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোঃ আল মামুন শিকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ শাহনেওয়াজ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডে জড়িত তিন আসামীকে গ্রেফতার করেন।
৭ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত আসামী বাহার উদ্দিন ও খাদিজা আক্তার তাজরীন এই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় জড়িত বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: