জুবিলী ব্যাংকের অবসায়ক হলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার জুবিলী ব্যাংকের অবসায়নে অফিসিয়াল লিকুইডিটর (অবসায়ক) হিসেবে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এজন্য তাকে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা ফি দিতে হবে।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফারিয়া হককে অতিরিক্ত লিক্যুইডিটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। এছাড়া ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
নয় মাসের মধ্যে তারা এ ব্যাংকের বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সব কাজ সম্পন্ন করবেন বলে আদেশে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ গত বছরের ২৯ নভেম্বর এই আদেশ দেন।
সম্প্রতি সেই আদেশের অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি জানা গেছে।
ওইদিন আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব-উল আলম ও কাজী এরশাদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল ওহাব এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একেএম বদরুদ্দোজা।
১৯১৩ সালের ১৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার জানিপুরে ‘খোকসা জানিপুর জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাংকটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা শুরু করে।
ব্যাংকটি ১৯৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি নাম পরিবর্তন করে হয় ‘জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ (অতফসিলি পাঁচটি ব্যাংক)। বিভিন্ন সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর কয়েক খুনি জুবিলী ব্যাংকের মালিকানায় ছিলেন।
গত কয়েক বছরে ব্যাংকটি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এটির অবসায়নে হাইকোর্টে আবেদন করে।
আজ আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম জানান, তারা মূলধনের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধান মানেননি। এ কারণে অবসায়ন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।