ঝালকাঠির খোদ শিশু পরিবারেই ঝুকিপূর্ণ শিশুশ্রম
মোঃ রাজু খান, (ঝালকাঠি):
ঝালকাঠি জেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রায় ২০কেজি ওজনের একটি চেয়ার দুটি শিশু দু’মাথা ধরে জাগিয়ে নিচ্ছে। এরমধ্যে একজন কিশোর হলেও অপরজন শিশু বয়সেরই। চেয়ার জাগিয়ে নিতে দুজনেরই খুব কস্ট হচ্ছে। এমন একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে বিভিন্ন জনে নেতিবাচক বিভিন্ন মন্তব্যও করেছেন। তবে ছবিতে যে দু’জন চেয়ার বহন করছেন তারাই যে শিশু পরিবারের সদস্য তা নিশ্চিত করেছেন সরকারী শিশু পরিবারের উপতত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।
গতকাল রবিবার (৩০জানুয়ারী) দুপুরে তিনি জানান, ২ জানুয়ারী আমাদের জাতীয় সমাজ সেবা দিবস গেছে। করোনা মহামারির কারণে সরকারী শিশু পরিবারের মধ্যেই অভ্যান্তরীণভাবে দিবসটি পালন করা হয়েছে। যেখানে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে ১৪দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এমপি প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।
জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহপার পারভীন সভাপতিত্ব করেন। ওই সময় অতিথিদের আসন গ্রহণের জন্য জেলা অফিস থেকে শিশু পরিবারের ছাত্রদের দ্বারাই চেয়ার নেয়া হয়েছে। কোন বয়সের শিশুদের দিয়ে কোন কাজ করানো যাবে সে ব্যাপারে আমাদের নীতিমালা আছে সে অনুযায়ীই কাজ করানো হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অপরদিকে ঝালকাঠি জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশ সংলগ্ন ঝালকাঠি চাঁদকাঠি এলাকায় অবস্থিত। সরকারী শিশু পরিবারে যা থেকে শিশুদের মাধ্যমে মালামাল আনা-নেয়া করানো হয়। ৫০গজেরও বেশি দূরত্বে এ মহাসড়কেই পায়ে হেটে মাথায় বা হাতে বোঝা নিয়ে যেতে হচ্ছে।
প্রতিদিন ওই মহাসড়ক দিয়ে দূরপাল্লার পরিবহন, মালবাহী ট্রাকসহ কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। হতে পারে জীবহানির মতোও বিপদ। অপরদিকে শিশুদের দিয়ে ঝুকিপুর্ণ কাজ করানোর ফলে একাধিক ছাত্রের শরীরে রয়েছে কাটা জখমও। জখমী ছাত্রে শরীর থেকে ঝড়েছে রক্তও।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেয়ায় তাদের পায়ে রয়েছে এখনও ব্যান্ডেজ। তবে জখমী ছাত্ররা তাদের বসবাসের কথা চিন্তা করে নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। ছাত্রদের জখমের ব্যাপারে উপতত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, কৃষি ক্ষেতে পানি দিয়ে গিয়ে কাঁচ ভাঙায় একটি শিশুর পা কেটে গেছে।
অভ্যন্তরীণ কাজকর্ম বসবাসরত শিশুদের মধ্যে যার যেমন বয়স তাকে দিয়েই তেমন কাজ করানো হচ্ছে। যা আমাদের নীতিমালা অনুসরণ করে।