যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়: তথ্যমন্ত্রী
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সর্বশেষ প্রতিবেদনকে ‘একপেশে, অগ্রহণযোগ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, এটি পড়ে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে হয়তো কেউ 'ড্রাফট' করে দিয়েছে এবং তারা তা পরিমার্জন করে প্রকাশ করেছে মাত্র, এর বেশি কিছু নয়।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে তথ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এ ধরনের সংগঠন থাকা অবশ্যই ভালো উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তবে বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিবিশেষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ব্যক্তিবিশেষের স্বার্থ রক্ষা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিজেদের ব্যবহার করা ও বিবৃতি দেওয়া সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এক্ষেত্রে সেটিই ঘটেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিটি আমি দেখেছি। এটি কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়, একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেখানে উল্লিখিত নির্দিষ্ট দুই-তিনটি বিষয় ছাড়া মানবাধিকার নিয়ে তাদের আর কিছু জানা আছে বলে মনে হয় না। একজন লেখক ও রেইন ট্রি হোটেল নিয়ে কিছু ব্যক্তিবিশেষ বিভিন্ন সভা-সমিতিতে প্রায়ই যা বলে থাকেন, বিবৃতিতে সেগুলোই আছে।
কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা গুয়ান্তানামো বে’র বন্দী নির্যাতন কারাগার বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছে এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যে দেশে বসে পরিচালিত হয়, অর্থাৎ সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই যে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়।
সেসবের দিকে নজর দিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতি এ সময় অনুরোধ জানান ড. হাছান মাহমুদ।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে শুধু বিএনপির সমাবেশ বন্ধ রাখতে বলা হয়নি, আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলের জন্যই তা প্রযোজ্য। এখন বিএনপি ওমিক্রন প্রতিরোধ না করে বেশি ছড়াতে চায় কি না, সেটিই প্রশ্ন।