South east bank ad

গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অবশেষে মারা গেলেন

 প্রকাশ: ১১ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, বগুড়া :

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ নাজমুল হাসান ওরেঞ্জ (২৮) অবশেষে মারা গেছেন।

গতকাল (১০ জানুয়ারি) সোমবার রাত ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।

গত ২ জানুয়ারি (রবিবার) রাত ৮টার দিকে শহরের মালগ্রাম এলাকায় গোলাগুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এসময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অপর কর্মী মিনহাজ হোসেন আপেলও(২৪) গুলিবিদ্ধ হন।

নাজমুল হাসান ওরেঞ্জ শহরের মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে। এছাড়াও তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া জেলা শাখার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। এদিকে এই হত্যা মামলার দুই আসামীকে র‌্যাবও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, মালগ্রাম এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েকদিন ধরে মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও অস্ত্রের মহড়া চলে। এর জের ধরে ২ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হলে অরেঞ্জ ও আপেল গুলিবিদ্ধ হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এরমধ্যে নাজমুল হাসান ওরেঞ্জ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঘটনার পরের দিন ৩ জানুয়ারি ওরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্নালী আক্তার বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় এ মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা আসামীরা হলেন- বগুড়া মালগ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদ (৩২), রাসেলের ছোট ভাই রাছানী (২৭), শহরের ডাবতলা মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪৮), একই এলাকার খাইরুল ইসলামের ছেলে সুমন (২০), বেলতলা এলাকার মতিন শেখের ছেলে শাকিব (২২), মালগ্রাম এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে হাবিব (২৪) এবং একই এলাকার আইনুল কসাইয়ের ছেলে টিপু (২৬)। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫জনকে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-১২ বগুড়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান ওরেঞ্জ নিহতের ঘটনায় এজাহারের ৩ নম্বর আসামী খাইরুল ইসলাম(৪৮) কে গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার ফাঁপোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খাইরুল শহরের ডাবতলার মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার ৭ নম্বর আসামী টিপুকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।

এদিকে ওরেঞ্জ মারা যাওয়ার সংবাদে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে মালগ্রাম ডাবতলা ও মালগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: